সংসদে 'ধরি মাছ না ছুঁই পানি' অবস্থানে তৃণমূল
কংগ্রেসের ডাকে সাড়া দিয়ে লোকসভা বয়কট। কিন্তু সংসদে কংগ্রেসের ধরনায় গড়হাজির। সেই তৃণমূলের সাংসদরাই আবার বয়কট ভুলে হাজির রাজ্যসভায়। বিজেপি-কংগ্রেসের মাঝে আপাতত এই ধরি মাছ না ছুঁই পানির মতো অবস্থানই নিচ্ছে তৃণমূল।
বিল বাই বিল, বল বাই বল। সংসদ কক্ষে তৃণমূলের অবস্থান নিয়ে বলতে গিয়ে এই শব্দবন্ধই শুনিয়েছিলেন ডেরেক ও ব্রায়েন। অর্থাত্ ইস্যুর সঙ্গে অবস্থান পাল্টানোর ইঙ্গিত ছিল। তবে সেটা যে কত দ্রুত বদলাতে পারে তা বোঝা গেল বাদল অধিবেশনে এসে। ললিতকাণ্ড, ব্যপম নিয়ে সংসদে সরকারকে কোনঠাসা করতে উঠে পড়ে লেগেছে কংগ্রেস। সেই লড়াইয়ে কখনই তৃণমূলকে কংগ্রেসের পাশে দেখা যায়নি। সুষমা-বসুন্ধরা-শিবরাজের ইস্তফার দাবি তো দূর অস্ত, উল্টে সোমবারের সর্বদলেও সুষ্ঠু সংসদ চলার পক্ষেও সওয়াল করেছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়রা।
সেই ছবিটাই এক লহমায় বদলে যায়, লোকসভায় ২৫ জন কংগ্রেস সাংসদদের সাসপেনশনে। স্পিকারের সিদ্ধান্তের প্রথম বিরোধিতাটাই আসে তৃণমূলের তরফে। শুধু বিরোধিতাই নয়। কংগ্রেসের আহ্বানে সাড়া দিয়ে পাঁচ দিন সংসদ বয়কটেও সায় দেয় তৃণমূল।
তৃণমূলের কৌশলী অবস্থানটা স্পষ্ট হয় মঙ্গলবার। দেখা যায় সাসপেনশনের প্রতিবাদে সংসদের বাইরে কংগ্রেসের বিক্ষোভে বাম-সমাজবাদী সহ অন্য ...টি দল যোগ দিলেও অনুপস্থিত তৃণমূল। এমনকী সবাইকে চমকে দিয়ে তারাই আবার হাজির রাজ্যসভায়।
অর্থাত্, কোনও কোনও ইস্যুতে কংগ্রেসের পাশে থাকলেও কখনই প্রকাশ্য সরকার বিরোধী অবস্থানে দেখা যাচ্ছে না তৃণমূলকে। রাজনৈতক মহলের একাংশের মতে, একদিকে সারদা দূর্নীতির তদন্তের মাঝে কেন্দ্রকে চটাতে চাইছে না তৃণমূল শিবির। অথচ তারাই আবার বাম ও কংগ্রেসের কাছাকাছি আসা ঠেকাতে সুযোগ মতো কংগ্রেসের দিকে হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। শ্যাম আর কূলের মাঝে টানাপোড়েন নিয়ে ধোঁয়াশাও তাই কৌশলী ভাবে বজায় রাখছে ঘাসফুল শিবির। গোটাটাই হচ্ছে বিল বাই বিল, বল বাই বলের ফর্মুলায়।