বিহারে আসন বণ্টনে কেন মাথা নোয়াতে হল বিজেপিকে?
পাঁচরাজ্যে ভোটের ফল বেরনোর পরই তাই চাপ বাড়ানো শুরু করে এলজেপি। মনের মতো আসন না পেলে ফল ভুগতে হবে বলে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে বসেন চিরাগ পাসোয়ান
নিজস্ব প্রতিবেদন: পাঁচ রাজ্যে ভোটে শোচনীয় ফল। সঙ্গে শরিকি চাপ। বিহারে শেষপর্যন্ত মাথা নোয়ালো পদ্ম। লোকসভা ভোটে বিহারে নীতীশ কুমারকে ১৭টি আসন ছাড়ল বিজেপি। এলজেপিকে ছাড়ছে ৬টি আসন। বিজেপি নিজে লড়বে ১৭টি কেন্দ্রে। রামবিলাসকে রাজ্যসভায় পাঠানোর আশ্বাসও দিয়েছে বিজেপি।
৪০টির মধ্যে কটি আসনে লড়ার সুযোগ জুটবে কপালে? সেই অক্টোবর থেকেই পাটলিপুত্রের আনাচেকানাচে ঘোরাফেরা করছিল সেই প্রশ্ন। কারণ, বিহার থেকে ২২টি সাংসদ দিল্লিতে নিয়ে গিয়েছে বিজেপি। শরিকদের ওপর তাহলে কি তারাই ছড়ি ঘোরাবে? শঙ্কায় ছিল নীতীশ কুমারের জেডিইউ আর রামবিলাস পাসোয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি।
আরও পড়ুন- শেষমেশ ফিফটি-ফিফটি! ফাইনালে সমান আসনে লড়াই নীতীশ-অমিতদের
পাঁচরাজ্যে ভোটের ফল বেরনোর পরই তাই চাপ বাড়ানো শুরু করে এলজেপি। মনের মতো আসন না পেলে ফল ভুগতে হবে বলে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে বসেন চিরাগ পাসোয়ান। ততদিনে এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন উপন্দ্র কুশাওয়া। তাই বিহারে আর ঝুঁকি নেয়নি বিজেপি। শরিকদের তুষ্ট করার পথেই হেঁটেছেন অমিত শাহরা।
আরও পড়ুন- মৌলবাদীদের বাধা সত্ত্বেও তিন তালাক বিরোধী আইন তৈরি হবে, জানিয়ে দিলেন মোদী
কিন্তু, সবটা যে মসৃণ ছিল না, আসন বণ্টনের পরও তা বুঝিয়ে দিয়েছেন রামবিলাস। রাজনৈতিক মহল বলছে, শুধু আসন বাড়িয়েই সন্তুষ্ট করা যায়নি এলজেপি-কে। রাজ্যসভায় রামবিলাসকে পাঠানোর আশ্বাসেই শেষপর্যন্ত চিঁড়ে ভিজেছে। আরজেডি বলছে, দর কষাকষি কোন পর্যায়ে পৌছেছে, তা এই আসন ভাগ বাটোয়ারাতেই স্পষ্ট। বিজেপি অবশ্য বলছে লোকসভায় বিহার থেকে কম সে কম ১৪টি আসন জিতছে এনডিএ।