দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার অভাবই কি মৃত্যুমুখে ঠেলে দিচ্ছে পর্বতারোহীদের
রাজীব ভট্টাচার্যের মৃত্যু এ প্রশ্ন তোলেনি। কিন্তু সুভাষ পালের মৃত্যু তুলে দিল সেই প্রশ্ন। দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার অভাবই কি মৃত্যুমুখে ঠেলে দিল সুভাষকে? অভিজ্ঞতার অভাবের কারণেই কি ৮ হাজারির বিপদকে জয় করতে পারেননি পরেশ নাথ?
ওয়েব ডেস্ক: রাজীব ভট্টাচার্যের মৃত্যু এ প্রশ্ন তোলেনি। কিন্তু সুভাষ পালের মৃত্যু তুলে দিল সেই প্রশ্ন। দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার অভাবই কি মৃত্যুমুখে ঠেলে দিল সুভাষকে? অভিজ্ঞতার অভাবের কারণেই কি ৮ হাজারির বিপদকে জয় করতে পারেননি পরেশ নাথ?
চূড়া ৮৮৪৮ মিটার। সর্বোচ্চ শৃঙ্গে বরফের খাঁজে খাঁজে বিপদের হাতছানি।
নেশা এবং জেদ। এই দুইয়ের টানেই ৮হাজার ৮৪৮ মিটার ছুঁয়ে আসতে বারবার ছুটে যান ওঁরা। একবারের ব্যর্থতা দ্বিতীয়বারের জন্য ছুটিয়ে নিয়ে যায় । সহযাত্রীর মৃত্যুও টলাতে পারে না সঙ্কল্পকে। কিন্তু একটা মৃত্যু তুলে দিয়ে গেল একটা বড় প্রশ্ন।
রাজীব ভট্টাচার্যের মৃত্যুতেও এ প্রশ্ন ওঠেনি। কারণ, অভিজ্ঞতার ঝুলি তাঁর পরিপূর্ণ। কিন্তু সুভাষ? এভারেস্ট জয়ের যথেষ্ট দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা কি ছিল বাঁকুড়ার গোবিন্দনগরের সারদাপল্লির এই যুবকের?
কিন্তু কোনও অভিজ্ঞ পর্বতারোহীর কাছে প্রশিক্ষণ নেননি। বাঁকুড়ার এক্সপ্লোরেশন নেচার সংস্থার সদস্য দাদা প্রণব পালের কাছে প্রশিক্ষণ নেন সুভাষ।
হিমালয়ের মাউন্ট ইউনাম (৬২০০ মিটার), মাউন্ট করচা (৬৪০০ মিটার), মাউন্ট ফ্রে (৫৮৩০ মিটার) সহ বেশ কয়েকটি পর্বতাভিযান করেন সুভাষ।
আটহাজারি তো দূর, সাতহাজারি কোনও শৃঙ্গজয়ের অভিজ্ঞতা ছিল না তাঁর।
একই প্রশ্ন উঠছে দুর্গাপুরের বি-জোনের বাসিন্দা পরেশ নাথের ক্ষেত্রেও।
হিমাচল প্রদেশের সিটিধর (৫ হাজার ২৯৪ মিটার), গাড়োয়াল হিমালয়ের ঠালু (৬ হাজার মিটার), কোটেশ্বর (৬ হাজার ৩৫ মিটার), গঙ্গোত্রী-২ (৬হাজার ৫৯০ মিটার), চন্দ্র প্রভাত (৬ হাজার ৭২৮ মিটার), কেদার ডোম (৬হাজার ৮৩০ মিটার) জয় করলেও কোনও সাতহাজারি শৃঙ্গ ছোঁননি পরেশ।
এভারেস্ট তো দূরঅস্ত্। অত উচ্চতায় ভয়ঙ্কর দুর্যোগের মুখে পড়লে কীভাবে মোকাবিলা করতে হবে, তার সঠিক প্রশিক্ষণ কি ছিল সুভাষ-পরেশের? অভিজ্ঞ পর্বতারোহীরা বলছেন, পাহাড়ে চড়ার ক্ষেত্রে এই প্রশিক্ষণ অত্যন্ত জরুরি।
উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ছাড়া পাহাড়ে চড়ার অনুমতি দেওয়া বন্ধ হবে কবে? নেশার টানে সর্বোচ্চ শৃঙ্গে পৌছতে পর্বতারোহীদের সচেতন করার দায়িত্ব কে নেবে?