Presidential Polls 2022: মমতার হাতেই রাইসিনার চাবিকাঠি? দিল্লির বৈঠকে নজর রাজনৈতিক মহলের
শুরুতে উষ্মা প্রকাশ করলে জাতীয় রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই পদক্ষেপকে অগ্রাহ্য করার মতো পরিস্থিতি এই মুহূর্তে কংগ্রেসের সামনে নেই। সেই কারণেই এই বৈঠকে প্রতিনিধি পাঠাচ্ছে কংগ্রেস।
মৌপিয়া নন্দীঃ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে বুধবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে বিরোধীদের বৈঠক দিল্লির কন্সটিটিউশন ক্লাবে। বিকেল ৩টে নাগাদ শুরু হওয়ার কথা এই বৈঠক। এই বৈঠকের আগে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই কী চাণক্য?
বাঙালির হাতেই রাইসিনার চাবিকাঠি রয়েছে কীনা সেই প্রশ্নের উত্তর কিছুটা হলেও পাওয়া যাবে বুধবারের বৈঠকের পরে। এই বৈঠকের পরে কিছুটা আন্দাজ পাওয়া যাবে এই মুহূর্তে জাতীয় রাজনীতিতে অবিজেপি শক্তিগুলিকে একজোট করার যে প্রক্রিয়া গত কয়েকমাসে বার বার দেখা গেছে তার চালিকাশক্তি কে।
বুধবারের বৈঠক ডেকেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখনও পর্যন্ত আপ এবং টিআরএস সহ পাঁচটি দল বাদে বাকি সব দলের কাছ থেকেই ইতিবাচক কথা শোনা গেছে বলে জানা গেছে তৃণমূল সূত্রে।
সবথেকে গুরুত্বপূর্ণভাবে কংগ্রেসের তরফেও প্রতিনিধি পাঠানো হবে এই বৈঠকে। কংগ্রেস দলের তরফে মল্লিকার্জুন খার্গে, জয়রাম রমেশ প্রতিনিধিত্ব করবেন এই বৈঠকে।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিজেপি বিরোধী দলগুলি একত্রিত হওয়ার এই চেষ্টাকে ২০২৪-এর নির্বাচনের আগে অনেকেই সেমি ফাইনাল বলে মনে করছেন। ২০২৪-এর নির্বাচনের আগে মোদী বিরোধী রাজনীতির চালিকাশক্তি কার হাতে থাকবে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে বার বার তৃণমূল কংগ্রেস সহ একাধিক দল প্রশ্ন তুলেছে কী যোগ্যতায় এই স্টিয়ারিং হুইল থাকবে কংগ্রেসের হাতে।
আরও পড়ুনঃ Chhattisgarh: ১০৪ ঘণ্টার চেষ্টায় বোরওয়েল পিট থেকে উদ্ধার ছত্তিশগড়ের রাহুল সাহু
শেষ কিছু মাসে কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে সম্পর্কে তিক্ততার সৃষ্টি হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের মুখপত্রেও বার বার এই বিষয় প্রশ্ন তোলা হয়। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে সকলের নজর ছিল কংগ্রেস এই বৈঠকে অংশ নেয় কিনা সেই দিকে।
শুরুতে উষ্মা প্রকাশ করলে জাতীয় রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই পদক্ষেপকে অগ্রাহ্য করার মতো পরিস্থিতি এই মুহূর্তে কংগ্রেসের সামনে নেই। সেই কারণেই এই বৈঠকে প্রতিনিধি পাঠাচ্ছে কংগ্রেস।
অন্যদিকে যে দলগুলির তরফে এই বৈঠকে প্রতিনিধি আসার কথা রয়েছে তারা সকলেই এই বৈঠকে উপস্থিত হলে রাইসিনার চাবিকাঠি আগামিদিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে থাকার সম্ভাবনাই সবথেকে বেশি বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
সমাজবাদী প্রার্থী জানিয়ে দিয়েছেন তারা ত্রিনউলের নির্বাচিত প্রার্থীকে সমর্থন করবে। অন্যদিকে আপ জানিয়েছে প্রার্থীর নাম নির্বাচন হলে তখন তারা সিদ্ধান্ত নেবে সমর্থনের বিষয়।