সবরীমালা মন্দিরে মহিলারা ঢুকবে না, সুপ্রিম রায় অবজ্ঞা করে হুঙ্কার বিক্ষোভকারীদের
মঙ্গলবার দিনভর যে ভাবে মন্দির প্রাঙ্গনের সামনে বিক্ষোভ চলছে, তাতে প্রশ্ন উঠছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পালনে কতটা সক্ষম হবে কেরল সরকার। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন, তাঁর সরকার বৈষমমূলক অবস্থানে কখনও সমর্থন করছে না
নিজস্ব প্রতিবেদন: সবরীমালা ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিক্ষোভ শুরু করলেন রক্ষণশীলরা। অভিযোগ, মন্দিরে প্রবেশের অনেক আগেই নীলাক্কল বেসক্যাম্পে কাছে মহিলাদের আটকে রীতিমতো তল্লাশি করেন তাঁরা। রাস্তায় গাড়ি থেকে নামিয়ে কম বয়সি মহিলাদেরকে সবরীমালা ‘রীতি’ মেনে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। বাদ যাননি মহিলা সাংবাদিকরাও। সবরীমালা মন্দিরের ভিতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া তাঁদের। এমনকি ‘সবরীমালা মন্দির বাঁচাও’ কমিটির মহিলাদের সামনে এগিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে পুরুষ ভক্তদের একাংশ। এর মধ্যে রাজনৈতিক দলের সমর্থকরাও রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মহিলা পুণ্যার্থীরা।
আরও পড়ুন- গোয়ায় বড়সড় ধাক্কা খেল কংগ্রেস, ইস্তফা দিলেন ২ বিধায়ক
উল্লেখ্য, সুপ্রিম রায়ের পর এই প্রথম সবরীমালার মন্দিরের আয়াপ্পা গর্ভগৃহ পুজোর জন্য খুলছে। বুধবার মন্দিরের দরজা উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে ভক্তদের জন্য। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, এই প্রথম মহিলারাও বিগ্রহ দর্শনের সুযোগ পাবেন। এর জন্য গোটা এলাকা কড়া নিরাপত্তায় ঢেকে দিয়েছে পিনারাই বিজয়নের সরকার। মোতায়েন করা হয়েছে কয়েক হাজার মহিলা পুলিসকর্মী।
মঙ্গলবার দিনভর যে ভাবে মন্দির প্রাঙ্গনের সামনে বিক্ষোভ চলছে, তাতে প্রশ্ন উঠছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পালনে কতটা সক্ষম হবে কেরল সরকার। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন, তাঁর সরকার বৈষমমূলক অবস্থানে কখনও সমর্থন করছে না। মহিলাদের যথাযথ নিরাপত্তা দেওয়া হবে।
এ দিকে কেরল শিবসেনা হুমকি দিয়ে রেখেছে, রজস্বলা মহিলারা মন্দিরে প্রবেশ করলে গণ আত্মহত্যা শুরু হবে। শিবসেনা নেতা পেরিঙ্গাম্মালা সাত সদস্য নিয়ে তৈরি করা হয়েছে আত্মহত্যা স্কোয়াড। যদি মহিলারা মন্দিরে প্রবেশ করেন, তাহলে আত্মহত্যা করবে ওই সদস্যরা। মলায়লি অভিনেতা কোল্লাম তুলসি এক জনসভায় হুমকি দেন, যে সব মহিলা মন্দিরে প্রবেশ করবেন, তাঁদের দু’ভাগে চিরে ফেলা হবে।
আরও পড়ুন- হোটেলে ডেকে জাপটে ধরে চুমু খেয়েছেন আমাকে, আকবরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার নয়া অভিযোগ
বুধবারের পরিস্থিতি সামলানোর জন্য পান্ডা, পুরোহিত এবং ভক্তদের সংগঠন আয়াপ্পা সেবা সঙ্গমের সঙ্গে আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ ত্রিবাঙ্কুর দেবাশ্রম বোর্ড। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পুনর্বিবেচনা বিষয়টি আলোচনা করবে বোর্ড। যদিও এই আর্জি সুপ্রিম কোর্টে উঠলে খারিজ করে দেওয়া হয়।