Kshirgram Jogadya Temple: হনুমানই পাতাল থেকে দেবীকে নিয়ে এসেছিলেন বাংলার এই গ্রামে...
Kshirgram Jogadya Temple Katwa: বাংলার সতীপীঠ গুলির মধ্যে অন্যতম সতীপীঠ এই ক্ষীরগ্রামের যোগাদ্যা সতীপীঠ। আর কয়েক দিন পর গ্রামের অধিষ্ঠাত্রী দেবীর পুজো। সেই উপলক্ষে নতুন করে সেজে উঠেছে মা যোগাদ্যার মন্দির। সাজোসাজো রব পড়ে গিয়েছে এলাকায়।
সন্দীপ ঘোষচৌধুরী: আর মাত্র কয়েকদিন, তার পরেই প্রত্যেক বছরের মতো এ বছরও বৈশাখ সংক্রান্তির দিন মঙ্গলকোটের ক্ষীরগ্রামের অনুষ্ঠিত হবে দেবী যোগাদ্যার পুজো। এ বছর দিনটি পড়েছে ১৫ মে, সোমবার-- ওই দিনই বৈশাখ সংক্রান্তি, অর্থাৎ, ৩১ বৈশাখ। এই পুজোকে কেন্দ্র করে এখানে বসবে মেলা। মা যোগাদ্যার পুজো সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রশাসন সর্বদা তৎপর থাকে। মেলায় ও পুজোয় যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য বিশাল পুলিস বাহিনী মোতায়েন করা হয়। গ্রামের অধিষ্ঠাত্রী দেবীর পুজো উপলক্ষে এবার নতুন করে সেজে উঠেছে মা যোগাদ্যার মন্দির। (ছবি: সন্দীপ ঘোষচৌধুরী)
ডান বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ
![ডান বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2023/05/13/420524-khir-1.png)
হনুমানের কাঁধে চেপে
![হনুমানের কাঁধে চেপে](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2023/05/13/420523-khir-2.png)
ক্ষীরগ্রামের মা যোগাদ্যা সম্পর্কে বহু পৌরাণিক কাহিনি ও জনশ্রুতি আছে। যখন রাম-রাবণের যুদ্ধ চলছে তখন রাবণপুত্র মহিরাবণ, রাম ও লক্ষণকে তাঁর আরাধ্যা দেবী ভদ্রকালীর কাছে বলি দেওয়ার জন্য পাতালে বন্দি করেছিল। সেখানে মহিরাবণ বধের পর হনুমান, রাম ও লক্ষণকে সঙ্গে নিয়ে পাতাল থেকে বেরোতে উদ্যোগী হলে মা ভদ্রকালী নাকি বলেছিলেন--তোমরা তো চলে যাচ্ছ, আমাকে এখানে একা ফেলে গেলে তো হবে না। আমাকে পৃথিবীর মধ্যস্থল যেখানে, সেখানে নিয়ে চলো! হনুমান সুড়ঙ্গপথে রাম-লক্ষণকে ও মা ভদ্রকালীকে সঙ্গে করে নিয়ে আসেন এই ক্ষীরগ্রামে।
TRENDING NOW
নরবলি থেকে মহিষবলি
![নরবলি থেকে মহিষবলি](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2023/05/13/420522-khir-3.png)
দেবীকে জল থেকে তুলে পুজো
![দেবীকে জল থেকে তুলে পুজো](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2023/05/13/420521-khir-4.png)
ক্ষীরদীঘির পারের মন্দিরে মায়ের প্রথম পুজো
![ক্ষীরদীঘির পারের মন্দিরে মায়ের প্রথম পুজো](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2023/05/13/420520-khir-5.png)
এদিন ভোরবেলায় মা'কে জল থেকে তোলা হয়। ক্ষীরদীঘির পারের সুসজ্জিত মন্দিরে মায়ের প্রথম পুজো হয়। এর পর ক্ষীরদীঘি থেকে একটু দূরে মায়ের মন্দিরে মা কে রেখে সারা দিন ধরে মায়ের পুজো, বলি ইত্যাদি অনুষ্ঠিত হয়। এদিন অগণিত দর্শনার্থী মায়ের দর্শন করেন পুজো দেন। রাত পর্যন্ত চলে পুজো। রাতে পুজো শেষ করে পুনরায় জলে নেমে যান মা যোগাদ্যা। পরে জ্যৈষ্ঠ মাসের ৪ তারিখে বিকেলে মা আবার জল থেকে ওঠেন। এদিন ক্ষীর দীঘির পারের মন্দিরেই মায়ের পুজো ও বলি হয়। এই দিনও হাজার-হাজার দর্শনার্থী ভিড় করেন মন্দির-চত্বরে। রাতে অভিষেক ও বিশেষ পূজার্চনার পরে দেবী পুনরায় জলে চলে যান।
কী ভাবে পৌঁছবেন এই সতীপীঠ ক্ষীরগ্রামে?
![কী ভাবে পৌঁছবেন এই সতীপীঠ ক্ষীরগ্রামে?](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2023/05/13/420519-khir-6.png)