টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক হওয়ার সব গুণই ছিল এই ক্রিকেটারের মধ্যে, মনে করেন পাঠান
একটা পরিসংখ্যান অবশ্য চমকে দেওয়ার মতোই। ২০১০ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে ৬টি ওডিআই ম্যাচে টিম ইন্ডিয়াকে নেতৃত্ব দেন
নিজস্ব প্রতিবেদন: স্মার্ট ক্রিকেটার হিসেবেই বেশ পরিচিত ওপেনার গৌতম গম্ভীর। অবশ্যই ব্যাটসম্যান হিসেবেও সুপরিচিত তিনি। সে ২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে গম্ভীারের অনবদ্য ৯৭ রানের ইনিংস ভারতের বিশ্বকাপ জয়ে বড় ভূমিকা নিয়েছিল।
২০১১ বিশ্বকাপের পর নেতা গম্ভীরকে আবিষ্কার করে ভারতীয় ক্রিকেট। তবে সেটা আইপিএল-এর মঞ্চে। কলকাতা নাইট রাইডার্সের নেতৃত্ব হাতে পাওয়ার পর প্রথম বছরেই প্লে-অফে তোলে দলকে। পরের বছরেই ২০১২ সালে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয় গম্ভীরের নেতৃত্বাধীন কেকেআর। ২০১৪ সালেও গম্ভীরের নেতৃত্বে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয় কিং খানের কলকাতা। দুই ক্ষেত্রেই অধিনায়ক গৌতম গম্ভীরের কৌশলী মানসিকতার পরিচয় পাওয়া যায়।
একটা পরিসংখ্যান অবশ্য চমকে দেওয়ার মতোই। ২০১০ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে ৬টি ওডিআই ম্যাচে টিম ইন্ডিয়াকে নেতৃত্ব দেন গৌতম গম্ভীর। আর তাঁর জয়ের রেকর্ড ১০০ শতাংশ। গম্ভীরের প্রাক্তন সতীর্থ ইরফান পাঠান মনে করেন ভারতীয় দলকে আরও বেশি করে নেতৃত্ব দেওয়ার সবগুনই ছিল গম্ভীরের মধ্যে।
এক সাক্ষাতকারে ইরফান পাঠান বলেন, "লোকজন রাহুল দ্রাবিড়কে নিয়ে বেশি কথা বলে না। তার মানে কি রাহুল দ্রাবিড়কে কেউ পছন্দ করেন না! না, তা নয়, মনে রাখবেনতাঁর নেতৃত্বেও টানা ১৬ টা ম্যাচ রান তাড়া করে জিতেছিল ভারতীয় দল।" তিনি আরও বলেন, "আমি সৌরভ গাঙ্গুলিকে ভীষণ শ্রদ্ধা করি। রাহুল দ্রাবিড়, অনিল কুম্বলের নেতৃত্বকেও শ্রদ্ধা করি। আমার মনে হয়, গৌতম গম্ভীর ভারতীয় দলকে আরও বেশি নেতৃত্বে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। যতটা সে নেতৃত্ব দিয়েছে তার প্রেক্ষিতে বলছি। ও সত্যিই একজন ভাল নেতা।"
আরও পড়ুন- পন্টিং আর ধোনির মধ্যে সেরা কে? বাছলেন শাহিদ আফ্রিদি