বিবাহবার্ষিকীতে আরও একটা সিরিজ নোটবুকে পুরলেন কিং কোহলি
বেমক্কা ঠ্যাঙানি। একেবারে নির্ভেজাল টিটোয়েন্টি ম্যাচ দেখলেন মুম্বইকররা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আরও একটা টি-২০ সিরিজ জয় টিম ইন্ডিয়ার। সিরিজের তৃতীয় তথা শেষ ম্যাচে মুম্বইয়ের ওয়াংখেড় স্টেডিয়ামে রীতিমতো তাণ্ডব করলেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। স্কোর বোর্ডে উঠল ২৪০ রান। বিরাট রানের লক্ষ্য পার করা আর সম্ভব হয়নি পোলার্ডদের। হলও তাই। তৃতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৬৭ রানে হারাল টিম ইন্ডিয়া।
বেমক্কা ঠ্যাঙানি। একেবারে নির্ভেজাল টিটোয়েন্টি ম্যাচ দেখলেন মুম্বইকররা। শুরুটা করেছিলেন ঘরের ছেলে। আর শেষটা করলেন বর্তমানে মুম্বইয়ের বাসিন্দা দিল্লি বয়। শুরু থেকেই বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাট করতে শুরু করেন দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও কেএল রাহুল। হিটম্যান আরও একটা সেঞ্চুরির দিকে এগোচ্ছিলেন। কিন্তু ৭১ রানে থামতে হল। ২০৮ স্ট্রাইক রেটে ৩৪ বলে উঠল ৭১ রান। দলের স্কোর তখন একশো পার। এমন দিনেও নিরাশ করলেন ঋষভ পন্থ। তাঁকে তিন নম্বরে পাঠিয়েছিলেন অধিনায়ক। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না পন্থ। ফিরলেন শূন্য রানে।
তারপর আরও একটা মাস্টার ক্লাস বিরাট কোহলির। নিজেই বারবার বলেছেন, ছক্কা মারতে পারেন না। জমিতেই খেলতে পছন্দ করেন। কিন্তু এদিন বিরাট বুঝিয়েদিলেন, পরিশ্রম ও অধ্যবসায় থাকলে অসম্ভব বলে কিছুই নেই। নিজের ব্যাটিংকে এমন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন যে বিরাটের ব্যাট থেকে এল ৭টি ছক্কা। ২৯ বলে ৭০ রানে অপরাজিত থাকলেন বিরাট কোহলি। অবিশ্বাস্য স্ট্রাইক রেট ২৪১.৩৮। সুযোগের সদ্ব্যবহার করলেন কেএল রাহুলও। ৫৬ বলে ৯১ রানে ফিরলেন প্যাভিলিয়নে। ত্রয়ীর ত্রহ্যস্পর্শে স্কোর বোর্ডে উঠল ২৪০ রান।
টি২০-তে ২৪১ রান পাহাড়সম টার্গেট। একটা বল ফস্কালেই বাড়তে থাকবে আস্কিং রেট। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে পোলার্ডের মতো বিধ্বংসী ক্রিকেটারও রয়েছেন। টিটোয়েন্টিতে অন্তত ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানরা হেলাফেলার নন। রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই দুই ওপেনার লেন্ডন সিমন্স ও ব্র্যান্ডন কিংকে হারিয়ে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। হতাশ করেছেন নিকোলাস পুরানও। এরপর হেটময়ারকে সঙ্গে নিয়ে খেলা জমিয়ে দেন কায়রন পোলার্ড। ৩৯ বলে ৬৮ রানে আউট হলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক। হেটময়ারে ব্যাটে এল ২৪ বলে ৪১ রান। পোলার্ড প্যাভিলিয়নে ফেরার পর ম্যাচের ভবিষ্যত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। নির্ধারিত ২০ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুলেছে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭৩।
আরও পড়ুন- নির্বাসন থেকে ফিরে এসেই রঞ্জিতে আগ্রাসী পৃথ্বী, ঝড়ের গতিতে ডবল সেঞ্চুরি