ISL 2021-22: এ বার করোনার কবলে এসসি ইস্টবেঙ্গল, আইএসএল নিয়ে অনিশ্চয়তা
আইএসএল শেষ করা নিয়েই উঠে গেল প্রশ্ন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: এটিকে মোহনবাগান, বেঙ্গালুরু এফসি-র পর এ বার করোনার (SC East Bengal) কবলে এসসি ইস্টবেঙ্গল (SC East Bengal)। সুত্র মারফত জানা গিয়েছে যে লাল-হলুদের একজন ফুটবলার ও একজন সাপোর্ট স্টাফ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে এমন অবস্থায় আগামী ১৯ জানুয়ারি এফসি গোয়া ম্যাচের পাশাপাশি পুরো আইএসএল (ISL 2021-22) শেষ করা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গেল। যদিও শোনা যাচ্ছে দুই সপ্তাহের জন্য পিছিয়ে যেতে পারে এই প্রতিযোগিতা। কিন্তু কঠিন জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হলেও, কীভাবে ভাইরাস হানা দিচ্ছে সেটাই বুঝতে পারছে না এফএসডিএল।
গোয়ায় এসসি ইস্টবেঙ্গল যে হোটেলে আছে, সেই হোটেলের সাত কর্মী আগেই কোভিড পজিটিভ হন। এ বার করোনা থেকে রেহাই পেলেন না লাল-হলুদ ফুটবলাররাও। ফলে আইএসএল ঘিরে বাড়ছে তীব্র অনিশ্চয়তা।
সাত জন হোটেলকর্মীর কোভিড রিপোর্ট পিজিটিভ আসার পর থেকেই পুরো লাল-হলুদ নিভৃতবাসে চলে গিয়েছিল। ফলে মাঠে নামার প্রশ্নই নেই। বরং ফুটবলার ও সাপোর্ট স্টাফদের সুরক্ষিত রাখতে রোজই দুই বেলা র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হচ্ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন এক ফুটবলার ও এক সাপোর্ট স্টাফ।
আরও পড়ুন: ISL 2021-22: করোনার থাবায় স্থগিত ATK Mohun Bagan বনাম Bengaluru FC ম্যাচ
আরও পড়ুন: Australian Open: সুযোগ পেয়েই Novak Djokovic-কে মোক্ষম খোঁচা দিলেন Rafael Nadal
কোভিড হানার জন্য শনিবারই স্থগিত করে দেওয়া হয়েছিল এটিকে মোহনবাগান বনাম বেঙ্গালুরু এফসি ম্যাচ। কারণ সবুজ-মেরুনের মোট দশ জন আক্রান্ত হওয়া ছাড়াও সুনীল ছেত্রীর দলের চার ফুটবলার আক্রান্ত। তাই এই নিয়ে রয় কৃষ্ণাদের দুটি ম্যাচ স্থগিত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কর্তৃপক্ষ।
গোয়ার সার্বিক কোভিড পরিস্থিতি বেশ খারাপ। এফসি গোয়া দল অনেক আগে থেকেই করোনার গ্রাসে জর্জরিত। ওডিশা এফসি-ও একই সমস্যায় ভুগছে। ফলে এই অবস্থায় লিগ চালিয়ে যাওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
শোনা যাচ্ছে, রবিবার ক্লাবগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারে লিগ কর্তৃপক্ষ। দুই সপ্তাহ বা আরও বেশ কয়েকদিন আইএসএল স্থগিত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। করোনা থেকে ফুটবলার, সাপোর্ট স্টাফদের রেহাই দিতে এমন ভাবনা শুরু হয়ে গিয়েছে। এই ভাইরাস হানার জন্যই ছয় সপ্তাহের জন্য পিছিয়ে গিয়েছিল আই লিগ। এ বার একাধিক দেশি-বিদেশি ফুটবলার ও সাপোর্ট স্টাফের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে আইএসএল পিছিয়ে দেওয়া হয় কিনা সেটাই দেখার।