Nathan Lyon: টেস্টে অনন্য সেঞ্চুরি অজি স্পিনারের! বিশ্বের একমাত্র বোলার হিসেবে বিরল ইতিহাস
Nathan Lyon Becomes First Bowler to Play 100 Consecutive Test Matches: নাথান লিয়ঁ যা করে দেখালেন, তা এর আগে অতীতে বিশ্বের কোনও বোলার করতে পারেননি। ব্যাটারদের বিরল নজিরেই আজ লিয়ঁ।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: চলতি অ্যাশেজ (The Ashes 2023) সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হয়েছে বুধবার থেকে। লর্ডসে মহাযুদ্ধে মুখোমুখি যুযুধান দুই পক্ষ-ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া (England vs Australia)। আর এদিন অস্ট্রেলিয়ার প্রথম একাদশে থেকেই অনন্য় রেকর্ড করলেন দলের সুপারস্টার স্পিনার নাথান লিয়ঁ (Nathan Lyon)। অভিজ্ঞ স্পিনার এদিন যে মাইলস্টোন গড়লেন, তা ক্রিকেট গ্রহে আর কোনও বোলার কখনও করতে পারেননি। লিয়ঁ টানা ১০০ টেস্ট ম্যাচ খেলে ফেললেন। বিশ্বের ষষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে এই বিরল ইতিহাসে নিজের নাম লেখালেন ৩৫ বছরের ক্রিকেটার। অতীতে টানা শতাধিক টেস্ট খেলার নজির রয়েছে অ্যালেস্টার কুক (Alastair Cook) (১৫৯), অ্যালান বর্ডার (Allan Border) (১৫৩), মার্ক ওয়া (Mark Waugh) (১০৭), সুনীল গাভাসকর (Sunil Gavaskar) (১০৬) ও ব্রেন্ডন ম্যাকালামের (Brendon McCullum) (১০১)। এই এলিট ক্লাবে এবার প্রথম বোলার হিসেবে সদস্যপদ পেলেন লিয়ঁ।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১২২টি টেস্ট খেলা লিয়ঁর রয়েছে ৪৯৫ উইকেট। তাঁর গড় ৩০.৯৯। এক ইনিংসে সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ৮/৫০ ও এক ম্যাচে সেরা পরিসংখ্যান ১৩/১৫৪। লর্ডসে ৫০০ উইকেট নেওয়ার মাইলস্টোনও গড়তে চাইবেন লিয়ঁ। অজি ক্রিকেটার ভীষণই রসবোধ সম্পন্ন একজন মানুষ। ১০০ টেস্ট খেলার প্রাক্কালে বলেন, 'টানা ১০০ টেস্ট ম্য়াচ খেলতে পেরে গর্বিত। আমার মাথায় এই পরিসংখ্যান থেকে যাবে। অনেক চড়াই-উতরাইয়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। বোঝাই যাচ্ছে প্রচুর টেস্ট খেলে ফেলেছি। আমার মাথায় যে কেন চুল নেই সেটাও বোঝা যাচ্ছে।' স্পিন জাদুকর আরও বলেন, 'কোনও অ্যাথলিটকে দীর্ঘ সময় ধরে সফল হওয়ার জন্য, তাঁর চারপাশের মানুষগুলোকেও অসাধারণ হতে হয়। আমি সেই অজি টিমেরই সদস্য়। আমার মনে হয়। আমার পরিবার অসাধারণ সমর্থন করেছে। ওদের সমর্থন ও ভালোবাসা-যত্নে এই জায়গায় এসেছি।' এক দশকেরও বেশি সময় ধরে লিয়ঁ অস্ট্রেলিয়া দলের সার্ভিসে রয়েছেন।
আরও পড়ুন:
লর্ডসের আগে এজবাস্টনে নেমেছিল ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে আট উইকেটে ৩৯৩ রান করে ডিক্লেয়ার করেছিল। জবাবে অস্ট্রেলিয়া ৩৮৬ রান তোলে। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ড গুটিয়ে যায় ২৭৩ রানে। প্যাট কামিন্সের ঐতিহাসিক নকে অস্ট্রেলিয়া ২ উইকেটে এজবাস্টন জিতে নেয়। ইংল্যান্ড হারতেই 'বাজবল' ক্রিকেট নিয়ে বিস্তর সমালোচনা হয়েছে খোদ ইংল্যান্ডেই। তবুও বাজবল চলছে..চলবে... বলেই জানিয়ে দিয়েছিলেন ব্রিটিশ ক্যাপ্টেন বেন স্টোকস।'বাজবল ক্রিকেট'! এই শব্দবন্ধে বাইশ গজের কান প্রায় ঝালাপালা হয়ে গিয়েছে। কী এই 'বাজবল ক্রিকেট'? এক কথায় বললে আগ্রাসী ও স্বাধীন এক ব্র্যান্ডের ক্রিকেট। যা ইংল্যান্ড খেলে চলেছে ব্রেন্ডন ম্য়াকালামব্রিটিশ টেস্ট দলের কোচ হওয়ার পর থেকে। বাজবল ক্রিকেট শব্দবন্ধের আমদানি করেছিলেন ব্রিটিশ সাংবাদিক অ্যানড্রিউ মিলার। ম্যাকালামের ডাকনাম 'বাজ' থেকেই এসেছে এই 'বাজবল ক্রিকেট'। যে ক্রিকেটীয় স্ট্র্যাটেজিতে সীমিত ওভারের ক্রিকেটের আক্রমণ ও রক্ষণাত্মক দিকটাও ফুটে ওঠে। নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক ম্য়াকালাম নিজে অত্যন্ত আগ্রাসী ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলতেন।