কলম্বোতে জন্ম নিল 'ক্রিকেটের কর্ণ', ভাঙা হাতেই ধরলেন ব্যাট-বল, বোঝালেন লড়াই না করে হারব না!
'বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচ্যগ্র মেদিনী'। যার আক্ষরিক অর্থ, যুদ্ধ না করে সূচের অগ্রভাগ সমান মাটিও ছেড়ে দেব না। দাঁড়িয়ে থাকব, নড়ব না। রণক্ষেত্রে একচুল জমি না ছাড়ার বার্তাই রয়েছে মহাভারতে কথিত এই বাক্য বন্ধণীতে। মহাভারতে কৌরবদের জয়ের জন্য শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়েছিলেন কর্ণ। ছলের বলে মৃত্যু না হলে হয়ত মহাভারতে অর্জুনের বদলে কর্ণই হত আসল 'হিরো'।
ওয়েব ডেস্ক: 'বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচ্যগ্র মেদিনী'। যার আক্ষরিক অর্থ, যুদ্ধ না করে সূচের অগ্রভাগ সমান মাটিও ছেড়ে দেব না। দাঁড়িয়ে থাকব, নড়ব না। রণক্ষেত্রে একচুল জমি না ছাড়ার বার্তাই রয়েছে মহাভারতে কথিত এই বাক্য বন্ধণীতে। মহাভারতে কৌরবদের জয়ের জন্য শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়েছিলেন কর্ণ। ছলের বলে মৃত্যু না হলে হয়ত মহাভারতে অর্জুনের বদলে কর্ণই হত আসল 'হিরো'।
জানা নেই, ওয়াহব রিয়াজ কখনও মহাভারত পড়েছেন কিনা। আদেও জানেন কিনা কর্ণ আসলে কে? কিন্তু 'ক্রিকেটের কর্ণ' বলে যদি কোনও খেলোয়াড়কে মনে রাখা হয়, তাহলে তাঁর নাম অবশ্যই ওয়াহাব রিয়াজ। নিজের দলকে বাঁচাতে ভাঙা হাতেই ক্রিকেট খেললেন পাকিস্তানের এই বাহাতি পেস বোলার। শ্রীলঙ্কা বনাম পাকিস্তান সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে হারেরে ভ্রূকুটি থেকে উদ্ধার করতে ভাঙা হাতে ব্যাট করলেন ১১ বল। পাকিস্তান দলের রান মাত্র ১৫০। ব্যাটিং ধ্বসে মুখ থুবরে পড়েছে পাকিস্তান। সিঁড়ি ভাঙার মতই একের পর এক উইকেট টপা টপ আউট। শেষ পর্যন্ত ভাঙ্গা হাতেই ব্যাট হাতে প্যাভিলিয়ন থেকে ২২ গজের দিকে হাঁটতে শুরু করেন রিয়াজ। ২২ গজে উইকেটের সামনে স্টান্টসটাই নিতে পারছিলেন রিয়াজ। কোনও মতে এক হাতে ব্যাট ধরে দাঁড়িয়ে রইলেন। ভাঙা হাতেই একটি চারও এল তাঁর ব্যাট থেকে। ওয়াহাব রিয়াজ রান করেন ৬, তবে এই ৬ রানই কলম্বোতে ক্রিকেট মাঠের সুবর্ণ ইতিহাস লিখে দিয়ে গেল।
শুধু ব্যাটিংই নয়। ভাঙা হাতেই ৯ ওভার বলও করলেন তিনি। যার মধ্যে ২ ওভার মেডেন। এই লড়াকু মনোভাব বুঝিয়ে দিয়ে গেল, ২২ গজ কখনই সমঝোতার জায়গা নয়। প্রতিটি বল, প্রতিটি রান, প্রতিটি উইকেটের জন্য আমরণ লড়াইয়ে নামেন ক্রিকেটাররা। এই লড়াইয়ে জিত যারই হোক না কেন, বীরগাথায় থেকে যায় লড়াই-সংগ্রামের ইতিহাস।