হারতেও পারতাম, তবে টাই হওয়ায় খুশি: ধোনি
“আফগানিস্তানের ছেলেরা ভাল খেলেছে। ওদের খেলায় অনেক উন্নতি হয়েছে। এশিয়া কাপে ওরা যে ভাবে পারফর্ম করল, তা সত্যিই প্রশংসনীয়।”
![হারতেও পারতাম, তবে টাই হওয়ায় খুশি: ধোনি হারতেও পারতাম, তবে টাই হওয়ায় খুশি: ধোনি](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2018/09/26/143696-ms-dhoni.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: জিততে জিততে হেরে যাওয়া না কি, হারতে হারতে বেঁচে যাওয়া? ভারত-আফগানিস্তান ম্যাচ নিয়ে কোন কথাটা বলা যথাযথ হবে? আফগানদের বিরুদ্ধে ভারতের টাই, এই ফল ধোনিদের কাছে নিঃসন্দেহে হোঁচট। আর বিরাট-হীন ভারতকে জিততে না দেওয়া, এটা নিঃসন্দেহেই আফগানদের কাছে বিরাট পাওয়া।
আরও পড়ুন- Asia Cup 2018: নিয়মরক্ষার ম্যাচে নাটকীয় টাই, হার বাঁচাল ভারত, রূপকথা আফগানদের
শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ-কে আগেই আটকে দিয়েছিলেন নবিরা। এবার ভারতকে আর মাত্র একটা রান আগে থামাতে পারলেই জয় নিয়ে হাসি মুখে দেশে ফিরতে পারত তাঁরা। সেটা না হলেও একটা উজ্জ্বল হাসি আছে রশিদদের মুখে, কিন্তু সেটা আরও চওড়া হতে পারত ভারতের বিরুদ্ধে জয়ে। অন্যদিকে, ভারতীয় শিবিরে উল্লাস না থাকলেও আছে স্বস্তির পরিবেশ। কারণ, আফগানিদের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ ক্ষমতা না নিয়ে মাঠে নেমে একটা লড়াই দেখাল আইসিসি তালিকায় থাকা বিশ্বের দুই নম্বর দল।
আরও পড়ুন- Asia Cup 2018: আবুধাবিতে আজ ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি বাংলাদেশ-পাকিস্তান
ম্যাচের স্কোর, আফগানিস্তান- ২৫২/৬, ভারত- ২৫২/১০। ২৫৩ রানের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে গিয়ে ২৫২ রানেই থামলেন ধোনিরা। ব্যাটে শাহজ়াদের শতরান আর বলে রশিদের স্পিন, কার্যত এই দুই মন্ত্রেই ভারতকে রুখে দিয়েছে কাবুলিওয়ালার দেশ। ২০০তম ম্যাচে নেতৃত্ব দিতে এসে হারতে হারতে বাঁচলেন ধোনিও। তিনি নিজেও সে কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, “আমি কখনই বলব না আমরা দাবার চালে ভুল করেছি। তবে হ্যাঁ, আমরা আমাদের সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে নামিনি। এই উইকেটে আমাদের হাতে যথেষ্ট স্পিনারও ছিল না। সঠিক জায়গায় বল করতে পারিনি। ব্যাটিংয়েও শুরুটা ভাল হলেও শেষ অবদি তা কার্যকরি হয়নি। শট নির্বাচন নিয়ে আমাদের আরও ভাবনা চিন্তা করতে হবে। এই ম্যাচটা হারতেও পারতাম, তবে টাই হওয়ায় আমি খুশি।” একই সঙ্গে আফগানিস্তান দলের প্রশংসা করে মাহি বলেছেন, “আফগানিস্তানের ছেলেরা ভাল খেলেছে। ওদের খেলায় অনেক উন্নতি হয়েছে। এশিয়া কাপে ওরা যে ভাবে পারফর্ম করল, তা সত্যিই প্রশংসনীয়।”
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুবাইতে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে নিয়ম রক্ষার ম্যাচে আগাগোড়াই পরীক্ষা চালানোর ভাবনা নিয়ে মাঠে নেমেছিল ভারত। দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং সহ-অধিনায়ক শিখর ধাওয়ানকে বিশ্রাম দিয়ে এই ম্যাচে সুযোগ দেওয়া হয় লোকেশ রাহুলকে। বিশ্রাম দেওয়া হয় দলের দুই পেস ব্যাটারি ভুবনেশ্বর ও যশপ্রীতকে। বদলে সুযোগ দেওয়া হয় তরুণ তুর্কি খলিল, চাহরকে। মিডল অর্ডারে সুযোগ দেওয়া হয় মণীশ পাণ্ডেকেও। সব মিলিয়ে পাঁচ পরিবর্তন নিয়েই আফগানদের বিরুদ্ধে নেমেছিল ভারতীয় শিবির। যার খেসারতও দিতে হল তাঁদের। হার না হলেও, এই ফল ভারতীয়দের কাছে হারের থেকে কম কিছুও নয়!