India's Richest Football Player: বাইচুং-সুনীল-গুরপ্রীত নন! দেশের সবচেয়ে ধনী ফুটবলার কে?
India's Richest Football Player: ভারতের সবচেয়ে ধনী ফুটবলার কে? এই প্রশ্ন করলে অনেকেই হয়তো একবাক্যে উত্তর দিতে পারেবন না। তাঁর নামটাও কিন্তু চমকে দেওয়ার মতো।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: যদি কোনও ফুটবল ফ্যানকে প্রশ্ন করা হয় যে, দেশের সবচেয়ে ধনী ফুটবলার কে বলুন তো? অনেকেই একবাক্যে বলবেন সুনীল ছেত্রী (Sunil Chhetri)। কিন্তু ভারত অধিনায়ক দেশের ধনীতম ফুটবলার নন। এরপর যদি আরও একটি সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে অনেকেই বেছে নেবেন বাইচুং ভুটিয়াকে (Bhaichung Bhutia)। কিন্তু প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের নামও সঠিক উত্তর নয়। এমনকী উত্তরটি গুরপ্রীত সিং সান্ধুও (Gurpreet Singh Sandhu) নয়। এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন তাহলে কে? রহস্য না বাড়িয়ে, এবার উত্তরটি বলে দেওয়াই যাক। দেশের সবচেয়ে ধনী ফুটবলারের নামা গৌড়মাঙ্গি সিং (Gouramangi Singh)। ঠিকই পড়লেন। ৩৭ বছরের মণিপুরি সেন্টার ব্যাক ও সুনীল-বাইচুংয়ের প্রাক্তন সতীর্থরই মোট সম্পত্তির পরিমাণ মাথা ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো। বাইচুং-সুনীলের থেকে অনেকটাই এগিয়ে আইএসএল ফ্র্যাঞ্চাইজি এফসি গোয়ার (FC Goa) সহকারি কোচ।
আরও পড়ুন: Cricket: কেরিয়ারে ২৫০ আন্তর্জাতিক উইকেট, এখন এই ক্রিকেটার চালান মুদির দোকান!
২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবলকে আলবিদা জানিয়েছেন গৌড়মাঙ্গি। টাটা ফুটবল অ্যাকাডেমির প্রোডাক্ট ইম্ফলের এক ছোট্ট গ্রাম থেকে উঠে এসেছিলেন। দেশের হয়ে অনূর্ধ্ব-২০ ও অনূর্ধ্ব-২৩ খেলে নিজের জাত চিনিয়ে ছিলেন গৌড়মাঙ্গি। তারপর সিনিয়র টিমে ৭০-এর উপর ম্যাচ খেলেছিলেন। জিতেছেন এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ (২০০৮), সাফ কাপ (২০১১) ও নেহরু কাপ (২০০৭, ২০০৯ ও ২০১২)। ক্লাব কেরিয়ার শুরু করেছিলেন মোহনবাগানের হাত ধরেই। কলকাতায় মোহনবাগান ছাড়াও খেলেছেন প্রয়াগ ইউনাইটেডে। মহীন্দ্রা ইউনাইটেড, স্পোর্টিং গোয়া ও চার্চিল ব্রাদার্সের মতো ক্লাবে খেলেছেন। গৌড়মাঙ্গি ভারতীয় ফুটবলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া ফুটবলারদের মধ্যেই একজন ছিলেন।
এবার দেখে নেওয়া যাক গৌড়মাঙ্গির মোট সম্পত্তির পরিমাণ কত? গৌড়মাঙ্গি ৪১ কোটি টাকার মালিক। দুয়ে রয়েছেন গুরপ্রীত। জাতীয় দলের তারকা গোলরক্ষক প্রায় ৩০ কোটি টাকার মালিক।সেখানে সুনীলের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১২ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা। বাইচুংয়ের রয়েছে ৫ কোটি টাকা।
EXPLAINED | ICC: রাজস্বের সিংহভাগই ভারতের পকেটে, দ্বিগুণ পেয়েও কেন কাঁদছে পাকিস্তান?