চিকেন খেতে ভালোবাসেন? এখনই সাবধান হোন
মাছের খাবার হিসেবে পল্ট্রি থেকে মরা মুরগি নিয়ে আসা হয়েছে। সেই মরা মুরগি কেটেই মাংস বের করে নেওয়া হচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: হোটেলে গিয়ে আপনি যে মুরগি খাচ্ছেন, তা নিরাপদ তো? না, ভয় দেখানো নয়। জানেন কি, হোটেলে হোটেলে মরা মুরগির মাংস পৌছে দিচ্ছে একটি অসাধু চক্র। সম্প্রতি বসিরহাটেই এমন বেআইনি র পল্ট্রিগুলি থেকে মরা মুরগি ছড়িয়ে পড়ছে রাজ্যের কোনায় কোনায়।
আরও পড়ুন: ম্যাট্রিমনিতে ৫ দিনের আলাপ, প্রবাসী হবু বরকে বিশ্বাস করে মর্মান্তিক পরিণতি তরুণীর!
মাছের খাবার হিসেবে পল্ট্রি থেকে মরা মুরগি নিয়ে আসা হয়েছে। সেই মরা মুরগি কেটেই মাংস বের করে নেওয়া হচ্ছে।
এ ছবি বসিরহাট ব্লকের বাদুড়িয়ার আরশুল্লা গ্রামের। কাটা হচ্ছে মরা মুরগি। তারপর বিভিন্ন রকমের রসায়নিক প্রয়োগ করে সেই মাংস প্রসেস করা হচ্ছে। এরপর তা ছড়িয়ে যাচ্ছে রাজ্যের কোনায় কোনায়।
আরও পড়ুন: বিয়ের আসরে চার হাত এক না হয়েও বেঁচে থাকল প্রেমিক-প্রেমিকার ভালোবাসা!
বসিরহাট এবং বাদুরিয়া হল মরা মুরগির সাপ্লাই লাইন। এ সময় আবহাওয়ার পরিবর্তনে প্রচুর মুরগি মারা যায়। সেই মরা মুরগিই হাফ দামে কিনে নিয়ে আসে অসাধু ব্যবসায়ীরা। তারপর রাতের অন্ধকারে হয় প্রসেসিং। মুরগি চলে যায় শহরে। হোটেলে হোটেলে বিকোয় সাধারণ মুরগির মাংসের দামেই। ব্লক প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের আধিকারিক বলছেন, একদিকে মরা মুরগি, তার ওপর একাধিক রসায়নিকের প্রয়োগ। খাবার অযোগ্য এই মাংস।
বাসিন্দাদের বক্তব্য, পুলিস সতর্ক হয়েছিল। তখন সাময়িক বিরতি। সামান্য কিছুদিন বন্ধ ছিল কারবার। পুলিস নজর ঘোরাতেই ফের রমরমা কারবার। সম্প্রতি কয়েকটি জায়গায় খবর পেয়ে হানা দেয় পুলিস। মরা মুরগি এবং মাংস মিললেও খোঁজ মেলেনি মুরগির কারবারিদের। তার আগেই তারা পগারপার। চিকিত্সকেরা বলছেন, অবিলম্বে মরা মুরগির প্রসেস মাংস বন্ধ না হলে পেটের সমস্যায় ভুগতে হবে সাধারণ মানুষকে।