দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল চেয়ারম্যান, ইংরেজবাজার পৌরসভায় অনাস্থা ১৫ জন দলীয় কাউন্সিলরেরই
এবার অচলাবস্থা ইংরেজবাজার পুরসভায়। তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত ইংরেজবাজার পুরসভায় অনাস্থা প্রস্তাব আনলেন দলের কাউন্সিলররাই। পুরপ্রধান নীহাররঞ্জন ঘোষের বিরুদ্ধে দলের ১৫ জন কাউন্সিলর অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: এবার অচলাবস্থা ইংরেজবাজার পুরসভায়। তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত ইংরেজবাজার পুরসভায় অনাস্থা প্রস্তাব আনলেন দলের কাউন্সিলররাই। পুরপ্রধান নীহাররঞ্জন ঘোষের বিরুদ্ধে দলের ১৫ জন কাউন্সিলর অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন।
ইংরেজবাজার পুরসভার মোট ২৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে তৃণমূলের দখলে ২৪টি ওয়ার্ড। তার মধ্যে ১৫ জন কাউন্সিলর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই অনাস্থা প্রস্তাব পৌঁছে গিয়েছে জেলাশাসক, মহকুমাশাসক ও চেয়ারম্যানের কাছে।
কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মাদার অ্যান্ড চাইল্ড কেয়ার হাবে বিধ্বংসী আগুন!
প্রসঙ্গত, এর আগে এই পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। ২ বছর আগে তাঁকেই সরিয়ে চেয়ারম্যান হন নীহাররঞ্জন ঘোষ। সূত্রের খবর, সেবার নীহারপন্থিরাই কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিলেন। এবার কৃষ্ণেন্দুপন্থীরা অনাস্থা আনলেন নীহাররঞ্জন ঘোষের বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই মাসখানেক আগে নীহাররঞ্জন ঘোষের সঙ্গে প্রাক্তন চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর হাতাহাতি হয়।
এক্ষেত্রে আরও একটি বিষয় উল্লেখ করছেন বিশ্লেষকরা। দক্ষিণ মালদা লোকসভার ইংরেজবাজার এলাকায় গত নির্বাচনে বিপুল ভোটে এগিয়ে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র। সেক্ষেত্রে প্রতিবাদী কাউন্সিলররা বিজেপির দিকেও ঝুঁকে থাকতে পারেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
এপ্রসঙ্গে চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমি এই মুহূর্তে কলকাতায় আছি। তবে বিষয়টি শুনেছি। কাউন্সিলররা আমার সঙ্গে আলোচনা করতে পারতেন। কোথায় অসুবিধা তা জানাতে পারতেন। এটা দল চিন্তা করবে। দল যা বলবে, আমি সেই মতোই চলব।”