Uttarakhand বিপর্যয়ে নিখোঁজ পুরুলিয়ার আরও ২ শ্রমিক
মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে পরিবারের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ৩ নয়, সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়াল ৫। উত্তরাখণ্ডে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর নিখোঁজ বাংলার আরও ২ শ্রমিক। তাঁদের বাড়ি পুরুলিয়ায়। উদ্বেগে প্রহর গুনছেন পরিবারের লোকেরা। যত সময় যাচ্ছে, বাড়ছে দুঃশ্চিন্তা।
একজনের নাম অশ্বিনী তন্তুবায়, আর একজন শুভঙ্কর তন্তুবায়। বাড়ি, পুরুলিয়ার আড়শা থানার বাগানডি গ্রামে। লকডাউনের পর বাড়তি উপার্জনের আশায় ভিনরাজ্য়ে পাড়ি দিয়েছিলেন তাঁরা। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, মাস চারেক আগে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতে উত্তরাখণ্ডে যান অশ্বিনী ও শুভঙ্কর। সেখানে একই ঠিকদারের অধীনের কাজ করছিলেন দু'জনে। রোজগারও মন্দ হচ্ছিল না। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগে সব উলটপালট হয়ে গেল!
আরও পড়ুন: টিকিট কাটতে আপত্তি , ট্রেন চালু হতেই যাত্রীদের বিক্ষোভ জলপাইগুড়িতে
জানা গিয়েছে, দুর্যোগের আগের রাতেও ফোনে স্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছিল শুভঙ্করের। সকালে হিমবাহের একাংশ ভেঙে আছড়ে পড়ে উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায়। অলকানন্দ ও ধৌলিগঙ্গা নদীর প্রবল স্রোতে ভেসে আসে জল-পাথর-বরফ। প্রবল জলস্র্রোতে তছনছ হয়ে যায় আশেপাশে এলাকা। এরপর থেকে বহু চেষ্টা করেও ছেলের সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারেননি শুভঙ্করের পরিবারের লোকেরা। খোঁজ নেই অশ্বিনীরও। নিখোঁজ দুই যুবকের পরিবারে লোকেদের দাবি, উত্তরাখণ্ডে তাঁরা যে ঠিকাদারের অধীনে কাজ করতেন, সেই ঠিকাদারের সঙ্গে যোগাযোগ করেও লাভ হয়নি। কোনও খবর দিতে পারেননি তিনি। আচমকা এমন বিপদে মাথা আকাশ ভেঙে পড়েছে বাড়ির লোকেদের।
উল্লেখ্য, উত্তরাখণ্ডে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর নিখোঁজ পূর্ব মেদিনীপুরের ৩ যুবক। ঋষি গঙ্গা বিদ্যুৎ প্রকল্পের ঠিকাদার ছিলেন দুই ভাই লালু জানা ও বুলা জানা। তাঁদের অধীনে একই প্রকল্পের কাজ করতেন সুদীপ গুড়িয়া নামে আরও একজন।