Mal Bazar: বার বার বলেও তৈরি হয়নি সেতু, নদীর উপর দিয়েই যাতায়াত মানুষের
জানা যায়, রোজ বহু মানুষ কুর্তি নদীর ওই এলাকা দিয়ে যাতায়াত করে। বিধাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবরাবস্তি, শালবাড়ি, মাথাচুলকা, প্রভৃতি এলাকার বহু মানুষ কুর্তি নদীর ওই এলাকা হয়ে চালসা, মঙ্গলবাড়ী যাতায়াত করে। মেটেলি ব্লক প্রশাসনের সমস্ত ব্লক কার্যালয় রয়েছে চালসায়। রোজ বহু লোক নানা কাজে ওই সমস্ত অফিসগুলোতে যায় এই পথেই।
অরূপ বসাক: নদীর ওপর দিয়েই যাতায়াত গ্রামের মানুষের। বহুবার বলেও তৈরি হয়নি সেতু। মালবাজার মহকুমার মেটেলি ব্লকের কৃষি প্রধান বিধাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবরাবস্তি ও চালসার মাটিয়ালি বাতাবাড়ি ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের গোয়ালডাঙ্গা এলাকায় কুর্তি নদীর উপর সেতু তৈরির দাবি উঠেছে।
জানা যায়, রোজ বহু মানুষ কুর্তি নদীর ওই এলাকা দিয়ে যাতায়াত করে। বিধাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবরাবস্তি, শালবাড়ি, মাথাচুলকা, প্রভৃতি এলাকার বহু মানুষ কুর্তি নদীর ওই এলাকা হয়ে চালসা, মঙ্গলবাড়ী যাতায়াত করে। মেটেলি ব্লক প্রশাসনের সমস্ত ব্লক কার্যালয় রয়েছে চালসায়। রোজ বহু লোক নানা কাজে ওই সমস্ত অফিসগুলোতে যায় এই পথেই।
পাশাপাশি রোজ বহু স্কুল পড়ুয়াও ওই এলাকা দিয়ে স্কুলে যাতায়াত করে। এই মরসুমে নদীতে জল কম থাকায় বাইক, সাইকেল, টোটো ও ছোট গাড়ি অনায়াসেই পার হয়। কিন্তু বর্ষায় নদীতে বেশি জল থাকার ফলে সাধারণ মানুষকে ঘুর পথে শালবাড়ি মোড় ও বাতাবাড়ি ফার্ম বাজার এলাকার হয়ে যাতায়াত করতে হয়। ফলে সমস্যা হয়।
আরও পড়ুন: Malda: প্রকাশ্য দিবালোকে নদীর মাটি কেটে পাচার, তৃণমূলের বিরুদ্ধে মদতের অভিযোগ
বিধাননগরের বহু কৃষকও তাদের উৎপাদিত ফসল বিক্রি করার জন্য ওই পথেই চালসার মঙ্গলবাড়ী বাজারে নিয়ে যায়। নদীর ওই এলাকায় সেতু তৈরি হলে এলাকার জনগণ, স্কুল পড়ুয়া সহ কৃষকদেরও যাতায়াতের সুবিধা হবে। কয়েকজন বাসিন্দা জানান, রোজ নানান কাজে চালসায় যেতে হয়। এই মরসুমে নদীতে জল কম থাকায় যাতায়াতের কোনও সমস্যা হয় না। কিন্তু বর্ষায় নদীতে জল থাকায় প্রায় ১০-১২ কিমি ঘুরপথে যাতায়াত করতে হয়।
আরও পড়ুন: Anubrata Mondal: কেষ্টর দিল্লি যাত্রা নিয়ে টানাপোড়েন অব্যাহত! ফিসচুলার সমস্যায় হাসপাতালে অনুব্রত
এই বিষয়ে বিধাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্ৰধান নিতেন রায় জানান, ‘ওই এলাকায় নদীর ওপর সেতু তৈরির দাবির বিষয়ে বিধাননগর ও চালসার মাটিয়ালি বাতাবাড়ি ১ নং গ্রাম পঞ্চয়েত যৌথভাবে রেজুলেশন করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দুই বছর আগে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখনও কোনও উত্তর পাওয়া যায় নি’।
উল্লেখ্য, সেতু তৈরির জন্য ইতিমধ্যে মাটি পরীক্ষাও করা হয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা বর্মনও ওই এলাকা পরিদর্শন করে গিয়েছেন বিগত দিনে। তারপরও মানুষের দাবি পুরণ হয়নি বলেই অভিযোগ স্থানীয়দের।