পুলিস সেজে তোলাবাজি গাড়ির চালকের, গ্রেফতার পশ্চিম মেদিনিপুরে
সম্প্রতি বেশকিছু লরি চালক পুলিশের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ করে
নিজস্ব প্রতিবেদন: পুলিসের ওসি-র গাড়ির চালক ছিলেন। পশ্চিম মেদিনীপুরের গুড়গুড়িপাল পিংলা সহ বেশ কয়েকটি থানাতে ওসির গাড়ির চালক হিসেবে কাজ করেছে। ডিউটির পরে নিজেকে পুলিস পরিচয় দিয়ে পুলিসের কৌশল রপ্ত করে কোটি টাকা তোলাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার করা হলো এক যুবককে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড় এলাকার বাসিন্দা বাপ্পা বেজ নামে ওই যুবককে তোলা হয় মেদিনীপুর আদালতে। নিজেদের হেফাজতে নিয়ে আরও তদন্তের পথে গুড়গুড়িপাল থানার পুলিস।
বাপ্পা বেজ নামে বছর তিরিশের ওই যুবক গোয়ালতোড় এলাকার বাসিন্দা। গত তিন বছর ধরে প্রথমে পিংলা থানায় ও পরে গুড়গুড়িপাল থানার পুলিসের ওসি গাড়ির চালক ছিল সে। বেসরকারিভাবে ভাড়ায় নেওয়া গাড়ি চালাতো বাপ্পা বেজ।
জানা গিয়েছে ওই যুবক, ডিউটির পরে কখনো কখনও পুলিসের গাড়ি নিয়ে আবার কখনও অন্যান্য গাড়ি নিয়ে নিজেকে পুলিস পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন রাস্তায় গাড়ি আটকে টাকা তুলত। জেলার গুড়গুড়িপাল থানা এলাকার বিভিন্ন বালি খাদান ও গোয়ালতোড় সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় গত তিন বছর ধরে মোটা টাকা তুলেছে সে।
পুলিসের হিসেবে এর পরিমাণ ২ কোটি টাকারও বেশি। যদিও পুলিস এই বিষয়ে আগে কিছুই জানতে পারেনি। এক মাস আগে গুড়গুড়িপাল থানার ওসি পরিবর্তন হতেই বাপ্পা বেজকে আর চালক হিসেবে রাখা হয়নি।
সম্প্রতি বেশকিছু লরি চালক পুলিশের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ করে। রাস্তায় জোর-জুলুম করে পুলিসের নাম করে ওই যুবকের টাকা তোলার কাহিনী তারা পুলিসকে জানালে পুলিস বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে। দেখা যায় সোশ্যাল সাইটেও সে নিজেকে পুলিস কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়েছে।
গুড়গুড়িপাল থানার পুলিশ সম্প্রতি তদন্ত করে পুরো বিষয়টি উদ্ধার করে। ততক্ষণে ওই যুবক রাজ্য ছেড়ে উড়িষ্যার পুরীতে আশ্রয় নিয়েছিল। পুলিস তার খোঁজ চালিয়ে শুক্রবার রাতে সেখান থেকে গ্রেফতার করে তাকে। শনিবার তাকে তোলা হয় মেদিনীপুর আদালতে। পুলিশ জানায় তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে আরও তদন্ত করে দেখা হবে।