Soumendu-র পর Dibyendu-Sisir-ও BJP-র পথে? আক্রমণ Abhishek-র

কাঁথি পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় সৌম্যেন্দুকে (Soumendu Adhikari)। তারপর তিনি বিজেপিতে নাম লেখান। 

Updated By: Jan 8, 2021, 03:38 PM IST
Soumendu-র পর Dibyendu-Sisir-ও BJP-র পথে? আক্রমণ Abhishek-র

নিজস্ব প্রতিবেদন: অধিকারী পরিবারের বাকি সদস্যরাও কি বিজেপির পথে? বৃহস্পতিবার দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের সভা থেকে এমন ইঙ্গিত দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। শুভেন্দুর হাত ধরে ইতিমধ্যেই গেরুয়া পতাকা হাতে নিয়েছেন সৌম্যেন্দু অধিকারী  (Soumendu Adhikari)। সেই প্রসঙ্গ টেনে এ দিন অভিষেক বলেন,'আমি বলেছিলাম, নিজের বাড়িতেই পদ্ম ফোটাতে পারছে না, বাংলায় কী করবে?  সঙ্গে সঙ্গে একটা ভাইকে এনে জয়েন করিয়েছ। তার মানে তোমার বাড়িতে আরও উপসর্গহীন রোগী রয়েছে!'    

কাঁথি পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় সৌম্যেন্দুকে (Soumendu Adhikari)। তারপর তিনি বিজেপিতে নাম লেখান। তার আগেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন,'তোমার বাড়িতেই পদ্ম ফোটাতে পারোনি। বাংলায় কী ফোটাবে?' তার জবাব দিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেছিলেন,'এখনও তো বাসন্তী পুজোটা আসেনি, রামনবমী আসেনি। রামনবমীটা আসতে দিন। আমার বাড়ির লোকেরাও পদ্ম ফোটাবে। শুধু আমার বাড়ির লোক কেন? হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে ঢুকেও পদ্ম ফুটিয়ে আসব।' তারপরই সৌম্যেন্দু ঝাঁপ দেন বিজেপিতে। এনিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) এ দিন বলেন,'বলেছিলাম নিজের পরিবারে পদ্ম ফোটাতে পারছ না, তুমি বাংলায় ফোটাবে কীভাবে? রাজনীতি বুদ্ধিমত্তার লড়াই। আমাদের কাজে সুবিধা করে দিয়েছেন। আমি বলেছিলাম,উপসর্গহীন বেইমান। দলের খেয়েছে, দলের পরেছে দলের সঙ্গেই গদ্দারি করেছে। আমার বলার পর সঙ্গে সঙ্গে একটা ভাইকে এনে জয়েন করিয়েছ। তার মানে তোমার বাড়িতে আরও উপসর্গহীন রোগী রয়েছে, তুমিই প্রমাণ করছ। তাঁদের ধরে ধরে আইসোলেশনে পাঠাচ্ছ। আমাদের কাজটা কমিয়ে দিচ্ছে।'   

শুভেন্দুর ভাই দিব্যেন্দু তমলুকের সাংসদ। বাবা শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari) কাঁথির সাংসদ ও পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূল জেলা সভাপতি। শুভেন্দু বিজেপিতে যাওয়ার পর দাদার পাশে দাঁড়াননি দিব্যেন্দু (Dibyendu Adhikari)। বরং কটাক্ষ করেছিলেন,'তৃণমূলের সাংসদ আছি, থাকব। আমি তো আর পাগলা ষাঁড় হয়ে যাইনি।' তবে সৌম্যেন্দুকে কাঁথি পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে সরানোর পরই বেসুরো বেজেছেন দিব্যেন্দু ও শিশির। এভাবে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক বলে মন্তব্য করেছেন দু'জনেই। উল্লেখ্য, কাঁথিতে তৃণমূলের সভায় অসুস্থতার জন্য উপস্থিত ছিলেন না শিশির অধিকারী। ফলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই ইঙ্গিত দিলেন, তৃণমূলে দিন ফুরোচ্ছে শিশির-দিব্যেন্দুর! 

আরও পড়ুন- হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে প্রকট 'গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব', ইউনিয়ন সভাপতির পদ খোয়ালেন সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী

.