'সাম্প্রদায়িক বিভেদ তৈরি-ই মিমের লক্ষ্য', তোপ অধীরের, পাল্টা সওয়াল বিজেপির
"মিম এসে কী করবে এখানে? খাবে না পুঁতে দেবে? সবটাই একটা আতঙ্ক তৈরির পরিকল্পনা।"

নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রসঙ্গ মিম। আর তা নিয়েই যুযুধান কংগ্রেস-বিজেপি, দুই শিবির। বিহার বিধানসভা নির্বাচনে সাফল্যের পর বাংলা বিধানসভা ভোটেও মিম প্রার্থী দেবে বলে ঘোষণা করেছেন আসাউদ্দিন ওয়াসি। আর তাতেই শিয়রে সংক্রান্তি দেখছে শাসক-বিরোধী, সব পক্ষই। শুরু থেকে তাই আক্রমণের ঝাঁঝ চড়িয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। এদিন সাংবাদিক বৈঠকেও যার অন্যথা হল না। কড়া সুরে আক্রমণ করলেন মিম-কে।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে অধীর চৌধুরীকে বলতে শোনা যায়, "মিম আসছে, মিম আসছে একটা হাওয়া উঠেছে। মিম এসে কী করবে এখানে? খাবে না পুঁতে দেবে? সবটাই একটা আতঙ্ক তৈরির পরিকল্পনা। সাম্প্রদায়িক বিভেদ তৈরি করাই ওদের লক্ষ্য। বাংলার মানুষ মিম-কে কখনও স্বাগত জানাবে না। ঘটনাচক্রে বিহারে জিতে গিয়েছে। তার মানেই এখানে সফল হবে তেমন নয়। বিহারে মাত্র ৫ লাখ ভোট পেয়েছে। এমন করছে যেন ৫ কোটি ভোট পেয়েছে!" অন্যদিকে, সিপিআইএম-এর সঙ্গে জোট নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির সাফ কথা, "একসময় UPA-তে ছিল সিপিআইএম। তাই ওদের সঙ্গে জোট করতে অসুবিধা কোথায়?"
প্রসঙ্গত, বিহার বিধানসভা নির্বাচনে ২০টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল মিম। ৫টি আসনে জিতেছে তারা। এখন বাংলায় এলে ভোট ভাগ করে বিজেপির সুবিধা করে দিতে পারে এআইএমআইএম। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ ও মালদহে মিম প্রার্থী দিলে ধাক্কা খেতে পারে কংগ্রেস। আর তাই শুরু থেকে স্ট্রেট ব্যাটে খেলে মিমকে সোজা ওভার বাউন্ডারির ওপারে পাঠাতে চাইছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। তাই উত্তোরত্তর তাঁর আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ছে। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে প্রদেশ কংগ্রস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী মিমকে কটাক্ষ করে তোপ দাগলেও, আসাউদ্দিন ওয়াইসির দলকে সঙ্গে নিতে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই বলে সাফ জানিয়েছেন বিজেপির অন্যতম কেন্দ্রীয় সম্পাদক তথা রাঢ়বঙ্গের পর্যবেক্ষক বিনোদ সোনকার। মিমকে সঙ্গে নেওয়ার প্রশ্নে সোনকারের স্পষ্ট কথা, "আমরা কংগ্রেস বা তৃণমূল দলের মত নই। আমরা দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করি। কোনও জাত-ধর্ম ভেদাভেদ করি না। আমরা এরাজ্যের বাইরে হতে পারি, কিন্তু এদেশের মানুষ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশি লোকজনদের নিয়ে মাতামাতি করছেন। সামাজিক, সাংস্কৃতিক বদল ঘটিয়ে সরকার তৈরি করার চেষ্টা করছে। আমরা দুর্গাপুরে দুদিন আছি। বাজারে, রাস্তায় ঘুরে ঘুরে মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। বুঝতে পারছি, এরাজ্যে পরিবর্তনের ঢেউ নয়। পরিবর্তনের ঝড় আসছে।"
আরও পড়ুন, 'আগামী বছরের গোড়াতেই ভারতে করোনার ভ্যাকসিন, নতুন করে কোনও লকডাউন নয় দিল্লিতে'