দলবদলকারীদের উদ্দেশে 'ক্যারট অ্যান্ড কেন' কটাক্ষ অধীরের
দলবদল নিয়ে মালদহের দুই কংগ্রেস সাংসদের সঙ্গেও কথা চালাচ্ছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
নিজস্ব প্রতিবেদন : একুশের মঞ্চে বড় চমক। তৃণমূলে এলেন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ চন্দন মিত্র। পাশাপাশি এদিন পতাকা বদল করলেন মুর্শিদাবাদে অধীর চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ দুই সেনাপতি। একইসঙ্গে মালদহেও কংগ্রেসের ঘরে ভাঙন।
মুর্শিদাবাদ আর কংগ্রেসের গড় নয়। দলবদলকে হাতিয়ার করেই সেই দুর্গের প্রাচীরের একটি-একটি করে খুলে ফেলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এবার প্রায় গোটা দুর্গটাই ধুলিস্যাত্ হয়ে গেল। তৃণমূলে এলেন অধীর ঘনিষ্ঠ আবু তাহের ও আখরুজ্জামান।
মালদহেও কংগ্রেসে ভাঙন। সাবিনা ইয়াসমিন ও রতুয়ার বিধায়ক সমর মুখার্জি এদিন তৃণমূলের পতাকা ধরলেন। সূত্রে খবর, দলবদল নিয়ে মালদহের দুই কংগ্রেস সাংসদের সঙ্গেও কথা চালাচ্ছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে ওই দুই সাংসদের দলবদলে আইনি সমস্যা থাকায় এদিন প্রকাশ্যে তাঁদের নাম ঘোষণা করা হয়নি।
আরও পড়ুন, ১৯-এর পাল্টা ২৩-এ বিজেপির ব্রিগেড, প্রধান বক্তা মোদী
কংগ্রেস কর্মীদের এভাবে দলবদলের ঘটনায় সরাসরি তৃণমূল নেতৃত্বের উদ্দেশেই তোপ দেগেছেন অধীর চৌধুরী। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির স্পষ্ট বক্তব্য, কংগ্রেস কর্মীদের দলে টানার জন্য 'ক্যারট অ্যান্ড কেন' নীতি নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলায় চলতি প্রবাদ আছে, সামনে গাজর ঝুলিয়ে রেখে লোভ দেখানো হয় প্রথমে, কিন্তু আখেরে তারপর ঝুলিতে কিছুই আসে না। কংগ্রেস কর্মীদের তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গে সেই বহু চলতি প্রবাদকেই উদ্ধৃত করেছেন কংগ্রেস সভাপতি। তৃণমূলের তরফে ভয় দেখিয়ে কংগ্রেস জনপ্রতিনিধিদের দলে টানা হচ্ছে বলে এদিন অভিযোগ করেন অধীর।