Anubrata Mandal Arrested: অনুব্রতর বাড়িতে সরকারি ডাক্তার, সুপার বললেন জেলা পরিষদের সভাধিপতির নির্দেশ ছিল
চন্দ্রনাথ অধিকারী বলেন, আমার সিনিয়ার অফিসারের অনুরোধ মানে নির্দেশ। উনি যা বলেছিলেন তা হল, আপনার কি আজ অফ ডে? আমি বলেছিলাম আমার অফ রয়েছে। উনি তখন বলেন, একটি এমার্জেন্সি কেস রয়েছে। অনুব্রত মণ্ডল অসুস্থ। আমি উপরতলা থেকে নির্দেশ পেয়েছি
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে সরকারি চিকিত্সক যাওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই বিস্তর জলঘোলা শুরু হয়েছে। কে কার নির্দেশ তৃণমূল নেতার বাড়ি গেলেন? আদৌ যাওয়া যায় কিনা তা নিয়ে তুঙ্গে বিতর্ক। তবে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপারের দাবি, জেলা পরিষদের সভাধিপতি তাঁকে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে চিকিত্সক পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন । তবে ছুটিতে থাকা চিকিত্সককে তিনি যাওয়ার জন্য কোনও চাপ দেননি। অনুরোধ করেছিলেন মাত্র। এদিকে যে চিকিত্সককে নিয়ে এত বিতর্ক সেই চন্দ্রনাথ অধিকারীর দাবি, অনুব্রতর বাড়ি যেতে হাসপাতাল সুপার তাঁর উপরে চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। এনিয়ে শেষপর্যন্ত বোলপুর হাসপাতালের সুপারকে তলব করেছে সিবিআই। প্রসঙ্গত, কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা হলেও সেখানে তাঁকে ভর্তি নেওয়া হয়নি। তিনি সোজ চলে যান বোলপুরে নিজের বাড়িতে। সেখানেই ৪ সদস্যের একটি মেডিক্যাল টিম এসে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে। সাদা কাগজে তাঁর প্রেসক্রিপশন লিখে দেওয়া হয়। পাশাপাশি চিকিত্সক চন্দ্রনাথ অধিকারির সেদিন বলেন, অনুব্রতবাবুর শারীরির যা পরিস্থিতি তাতে তিনি কষ্ট পাচ্ছেন। জার্নি না করাই ভালো। এনিয়েই তৈরি হয়ে যা বিতর্ক। প্রশ্ন ওঠে, অনুব্রত কোনও জন প্রতিনিধি নন। তাঁর চিকিত্সায় সরকারি মেডিক্যাল টিম কেন? কে পাঠিয়েছিল টিম?
আরও পড়ুন-'ব্যক্তিস্বার্থ নয়, ভালোবেসে দল করতে হবে', জেলার নেতাদের বার্তা অভিষেকের
অনুব্রতর বাড়িতে মেডিক্যাল টিম পাঠানো নিয়ে হাসপাতাল সুপার বুদ্ধদেব মুর্মু বলেন, অনুব্রতর বাড়িতে চিকিত্সক দল পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী মহাশয়। তিনি বলেছিলেন, অনুব্রত মণ্ডল গুরুতর অসুস্থ। একটি মেডিক্যাল টিম পাঠাতে হবে। উনি মৌখিক নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাই আমার সহকর্মী ও ডিউটিতে সেদিন না থাকা চন্দ্রনাথবাবুকে আমি অনুরোধ করেছিলাম ওঁকে দেখে আসতে। উনি কোনও কলরেকর্ড দেখাতে পারবেন না যে আমি ওঁকে বলেছি যে ১৪ দিনের বেডরেস্ট লিখে দিন বা আপনাকে যেতেই হবে। উনি যদি না যেতে পারতেন তাহলে উনি আমাকে জানাতে পারতেন। কোনও লিখিত নির্দেশ না থাকায় আমি কোনও প্রেসক্রিপশন বা হাসপাতালের সিলও দিতে অস্বীকার করি।
এদিকে, চন্দ্রনাথ অধিকারী বলেন, আমার সিনিয়ার অফিসারের অনুরোধ মানে নির্দেশ। উনি যা বলেছিলেন তা হল, আপনার কি আজ অফ ডে? আমি বলেছিলাম আমার অফ রয়েছে। উনি তখন বলেন, একটি এমার্জেন্সি কেস রয়েছে। অনুব্রত মণ্ডল অসুস্থ। আমি উপরতলা থেকে নির্দেশ পেয়েছি। আপনি যান। কোথাও বলিনি ১৪ দিন বেড রেস্ট নিতে হবে। আমাকে যদি সিএমওএইচ কোনও অনুরোধ করে তাহলে আমি কি অনুরোধ হিসেবে দেখব নাকি? সেটাই আমার কাছে অর্ডার। বরং আমি এটা বলেছিলাম, এখন ইডি চলছে। এখন কি বাড়িতে যাওয়া উচিত হবে? শেষপর্যন্ত শকিং জিনিসটা হল যে উনি হাসপাতালের সিল দিতে নিষেধ করলেন। আমি যে পরামর্শ দিয়েছিলাম তাকে আমার সাক্ষর ছিল। তারপর সেটি হাসপাতালের সিল দেওয়ার জন্য পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। পরে যখন আমি বাড়ি এলাম তখন ফোন এল সুপার হাসপাতালের সিল দিতে নিষেধ করেছেন। পরে দেখলাম কোনও একটা নার্সিং হোম থেকে আমরা ব্যক্তিগত সিল নিয়ে মেরে দিয়েছে।
অন্যদিকে, বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, অনুব্রতর বাড়ি থেকে ফোন এসেছিল যে ওঁর ফিসচুলাটা ফেটে গিয়েছে। খুবই কষ্ঠ ভোগ করছেন। হাসপাতালে খবর দিতে। সেইমতো আমি সুপারকে ফোন করি। তারপর সুপার যা ব্যবস্থা নেওয়া তা নিয়েছেন। এর বেশিকিছু আমি জানি না। আমার কোনও নির্দেশ থাকলে উনি দেখান!