Bankura: পথ তো নয়, মরণফাঁদ! বেহাল দশা বিধায়কের গ্রামের রাস্তার, ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী
বাঁকুড়ার শালতোড়া বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরীর গ্রামে যাওয়ার রাস্তার অবস্থা এমনই।
মৃত্যুঞ্জয় দাস: কাঁচা রাস্তায় বড় বড় গর্ত। খোদ বিধায়কের গ্রামের রাস্তায় ঢোকে না অ্য়াম্বুলেন্স। কোথাও এক ফুট আবার কোথাও জমে রয়েছে দু ফুট থেকে আড়াই ফুট জল। গর্ত পাশ কাটিয়ে রাস্তা দিয়ে চলাচল প্রায় অসম্ভব। বেহাল রাস্তা মেরামতের বারবার আবেদন জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। বাঁকুড়ার শালতোড়া বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরীর গ্রামে যাওয়ার রাস্তার অবস্থা এমনই।
বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের বন আশুড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কেলাই গ্রামে বাড়ি শালতোড়া বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরী। অভিযোগ গঙ্গাজলঘাটি থেকে শালতোড়া যাওয়ার পাকা রাস্তা শ্যাওরাতলা মোড় ছেড়ে কেলাইয়ের দিকে ঢুকলেই শুরু হয়ে যায় খানাখন্দে ভরা ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রা। এই রাস্তার দৈর্ঘ্য মেরেকেটে আড়াই কিলোমিটার। অভিযোগ, এই আড়াই কিলোমিটার রাস্তায় কস্মিনকালে পিচ বা কংক্রিটের মশলা পড়া তো দূরের কথা গত দশ বছর ধরে এই রাস্তায় এক ঝুড়ি মোরামও পড়েনি।
ফলে আড়াই কিলোমিটার এই কাঁচা রাস্তা জুড়ে খানা-খন্দ। কালবৈশাখীর সামান্য বৃষ্টির জল থই থই অবস্থা রাস্তার। কোথাও কোথাও জমে হাঁটু সমান কাদা। বিকল্প রাস্তা না থাকায় এই রাস্তা পেরিয়েই বাধ্য হয়ে যাতায়াত করছেন কেলাই, বিসিন্ডা, রাঙামাটি সহ বিভিন্ন গ্রামের মানুষ। খোদ শালতোড়ার বিধায়কও যাতায়াত করেন ওই রাস্তা দিয়েই। কিন্তু রাস্তা পাকা করা তো দূরের কথা রাস্তা সংস্কারের ন্যূনতম উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
স্থানীয়দের দাবি, শুখা মরসুমেও বেহাল রাস্তার কারণে গ্রামগুলিতে গাড়ি এমনকি অ্যাম্বুলেন্স যেতে চায় না। সামনেই বর্ষা। বৃষ্টি শুরু হলে সেক্ষেত্রে কীভাবে এলাকার মানুষ যাতায়াত করবেন তা ভেবেই আপাতত ঘুম ছুটছে এলাকার মানুষের। শালতোড়ার বিধায়কের দাবি, স্থানীয় বিডিও থেকে জেলার বিভিন্ন দফতরের দ্বারস্থ হয়েও রাস্তার হাল ফেরানো যায়নি। বিধায়ক উন্নয়ন তহবিলের সীমিত টাকাতেও ওই রাস্তা পাকা করা সম্ভব নয়। অগত্যা গ্রামের মানুষের সমস্যা থেকে গেছে সেই তিমিরেই।
আরও পড়ুন, Bimal Gurung On GTA Election: আমরণ অনশনের ৩ দিন, অসুস্থ বিমল গুরুং