নকশা হাতাতেই কি খুন? মুম্বইতে বাঙালি চিত্রশিল্পী খুনে উঠে আসছে বন্ধুর নাম
জেরায় চিন্ময় জানিয়েছে, কৃষ্ণেন্দুর সঙ্গে কাজ করত সে। একসঙ্গেই থাকত। ডিজাইন হাতাতেই কৃষ্ণেন্দুকে খুন করা হয়েছে বলে অনুমান মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মুম্বইয়ে বাঙালি চিত্রশিল্পী কোন্নগরের বাসিন্দা কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী খুনের ঘটনায় উঠে আসছে তাঁরই বন্ধু চিন্ময়ের নাম। তাঁকে জেরা করে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
জেরায় চিন্ময় জানিয়েছে, কৃষ্ণেন্দুর সঙ্গে কাজ করত সে। একসঙ্গেই থাকত। ডিজাইন হাতাতেই কৃষ্ণেন্দুকে খুন করা হয়েছে বলে অনুমান মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চের। অথবা পাওনা টাকা চাওয়াতেই বচসা, আর তা থেকেও খুন বলে আরও একটি তথ্য উঠে আসছে।
মুকেশ আম্বানি থেকে মুম্বইয়ের বড় বড় তারকাদের বাড়িতে কাজ করেছে কৃষ্ণেন্দুদের ‘পার্পেল মাইন্ড’ নামে ডিজাইন সংস্থাটি। মহম্মদ ফুরান নামে এক ভেন্ডারের সঙ্গে গত ৭ তারিখ কৃষ্ণেন্দু মিটিং করতে যান। সন্ধ্যায় মায়ের সঙ্গে কথা বলেন। মোবাইলের কললিস্ট ঘেঁটে পুলিস জানতে পেরেছে, বন্ধু চিন্ময়ের সঙ্গেও কথা হয় তাঁর।
সেদিনই রাত ৯.১৫ শেষ হোয়াটসঅ্যাপ সিন করেন কৃষ্ণেন্দু। তারপর থেকেই তাঁর সঙ্গে ফোনে কেউ যোগাযোগ করতে পারেননি। ধারালো কিছু দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয় কৃষ্ণেন্দুকে। এরপর দেহ বস্তায় ভরে গাড়ির ডিকিতে করে নিয়ে গিয়ে খাদে ফেলে দেওয়া হয়। শিল্পীর ভাই দেহ শনাক্ত করেছেন।
কাজের বাড়ির মালিকের সঙ্গে নয়, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল দেওরের সঙ্গেই, নিমতা খুনে ফের নয়া তথ্য
এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে, গাড়ি, ল্যাপটপ, মোবাইল।
জানা গিয়েছে, ২০০৮ সালে মুম্বই চলে যান চিত্রশিল্পী কৃষ্ণেন্দু। গোরেগাঁওতে তিনি একটি ফ্ল্যাট কেনেন। মুম্বইতে একটি আর্ট স্কুলও খোলেন তিনি। কয়েকটি প্রোডাকশন হাউসের হয়েও কাজ করতেন তিনি। তার খুনের পিছনে কাজের জগতের ঘনিষ্ঠ কেউ জড়িত বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।