বনগাঁ পুরবোর্ড বিজেপির দখলে, পাল্টা দাবি বিধায়ক বিশ্বজিত্ দাসের
তাঁর দাবি, পুরসভায় অনাস্থা বৈঠকে হাজির হন ১১ জন বিজেপি কাউন্সিলর।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বনগাঁ পুরবোর্ড বিজেপির দখলে। পাল্টা দাবি করলেন বনগাঁর বিধায়ক বিশ্বজিত্ দাস। তাঁর দাবি, পুরসভায় অনাস্থা বৈঠকে হাজির হন ১১ জন বিজেপি কাউন্সিলর। আস্থা ভোটের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক বা এক্সিকিউটিভ অফিসারের সামনেই তাঁরা অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে সই করেন। তার প্রতিলিপি বুধবার হাইকোর্টে পেশ করতে চলেছে বিজেপি।
এদিকে, বনগাঁ পুরসভার তাদের দখলে বলে পাল্টা দাবি করছে তৃণমূল। তৃণমূলের দাবি, বেলা ৩টের সময়ে আস্থা ভোট হওয়ার কথা ছিল। ৩.১৫ পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিলেন আস্থা ভোট করানোর দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক। কিন্তু তৃণমূল চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যের বিরুদ্ধে যাঁরা অনাস্থা এনেছিলেন, তাঁরা কেউই নির্দিষ্ট সময়ে উপস্থিত হতে পারেননি। উপস্থিত কাউন্সিলরদের ভোটেই জয়ী হন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য। সেক্ষেত্রে সময় মতো বিজেপি কাউন্সিলররা না আসায় আস্থা ভোটে নিজেদেরকেই জয়ী বলে ঘোষণা করে দেয় তৃণমূল। যদিও বিজেপির অভিযোগ, তাদের ৯ জন কাউন্সিলরকে পুরসভা ভবনে ঢুকতে দেওয়া হয়েছিল, তবে একটি ঘরে তালাবন্দি করে রাখা হয়েছিল। বাকি অপহরণে অভিযুক্ত ২ বিজেপি কাউন্সিলরকে ভবনে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি । যদিও তাঁদের গ্রেফতারির ওপর ১ সপ্তাহের স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেক্ষেত্রে তাঁরা আস্থাভোটে অংশ নিতেই পারতেন।
আস্থা ভোটে অনুপস্থিত বিজেপি কাউন্সিলররা, বনগাঁ পুরসভা দখলে, দাবি তৃণমূলের
এক্ষেত্রে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, "বিজেপি কাউন্সিলররা মিথ্যা বলছে, তাঁদের কেউ আটকাননি। তাঁরা নিজেরাই পুরভবনে উঠতে চাননি। যে তিন জন অনাস্থা এনেছিলেন, তাঁরা কেউই তিনটের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন না। তাঁরা সাড়ে তিনটের সময়ে দলবল নিয়ে উপস্থিত হন। ততক্ষণে ভোটপর্ব শেষ হয়ে গিয়েছিল। অনাস্থা ভোট করতে তো আর বেশি সময় লাগে না!"