'মহিলাদের কুপ্রস্তাব, নোংরা কথা', অপসারিত মণ্ডল সভাপতি, নোয়াপাড়ায় বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব
নব্য ও পুরনো বিজেপি কর্মীদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জন্যই মণ্ডল সভাপতির পদ থেকে সরতে হয়েছে অলোক জানাকে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : সাত মাস বাদেই নির্বাচন। একুশের বিধানসভা ভোটকে মাথায় রেখে একদিকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যখন ঘুঁটি সাজাতে ব্যস্ত, তখন রাজ্য বিজেপির অন্দরমহলে ইতিউতি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দিয়েই চলেছে। কৈলাস বিজয়বর্গীয় প্রকাশ্য মঞ্চে মুকুল রায়ের প্রশংসা করলে, তাঁকে মমতাকে মুখ্যমন্ত্রী বানানোর কারিগর বললে, ক্ষুব্ধ হয়ে সভাস্থল ছেড়ে চলে যেতে দেখা যায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। অন্যদিকে জেলা বিজেপির অন্দরেও গোষ্ঠীকোন্দল। যা বিড়ম্বনা বাড়িয়েছে পদ্মশিবিরে।
উত্তর ২৪ পরগনার নোয়াপাড়া ৫ নম্বর গ্রামীণ মণ্ডলের বিজেপি মণ্ডল সভাপতি অলোক জানাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে পদ থেকে। এই অপসারণকে ঘিরে ফের প্রকাশ্যে বিজেপির অন্তর্কলহ। নব্য ও পুরনো বিজেপি কর্মীদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জন্যই মণ্ডল সভাপতির পদ থেকে সরতে হয়েছে অলোক জানাকে। অভিযোগ, পুরনো বিজেপি কর্মীরা হুমকি দেন, অলোক জানাকে সভাপতি পদ থেকে বহিষ্কার না করলে তাঁরা সবাই দল ছেড়ে চলে যাবেন। এরপরই দলীয় কার্যালয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়।
বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, অলোক জানা মহিলা কর্মীদের কুপ্রস্তাব দিয়েছেন। সেইসঙ্গে কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তাও বলেন। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অলোক জানা। দলের মধ্যে অন্তর্কলহের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন নোয়াপাড়ার বিধায়ক সুনিল সিং। তিনি বলেন, দল বড়ো হচ্ছে। তাই বিবাদ, ঝগড়াঝাঁটিও বাড়বে। এপ্রসঙ্গে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্বের কথাও তুলে ধরেন। অন্যদিকে বিজেপির ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি উমাশঙ্কর সিং জানান, অলোক জানাকে নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি। দোষ প্রমাণিত হলে দল উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।
আরও পড়ুন, বীরভূমে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! ব্যাপক বোমাবাজি, গ্রেফতার পাঁচ তৃণমূল কর্মী