বাস দুর্ঘটনায় অগ্নিগর্ভ দৌলতাবাদ, মারমুখী জনতার ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালাল পুলিস!

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শূন্যে গুলি চালায় পুলিস। চলে বেপরোয়া লাঠিচার্জ, টিয়ার গ্যাসও ছোড়ে পুলিস।  তাতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিসকে লক্ষ্য করে চলতে থাকে ইটবৃষ্টি। মারমুখী জনতা ভয়ে একসময়ে এলাকা ছেড়ে পালাতে দেখা যায় পুলিসকে।  

Updated By: Jan 29, 2018, 10:21 AM IST
বাস দুর্ঘটনায় অগ্নিগর্ভ দৌলতাবাদ, মারমুখী জনতার ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালাল পুলিস!

নিজস্ব প্রতিবেদন:  দুর্ঘটনার ৩ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কেন মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদের ভৈরব নদীতে বাস দুর্ঘটনায় কেন ডুবুরি নামানো সম্ভব হল না, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। এখনও পর্যন্ত এলাকায় পৌঁছয়নি বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা। পুলিস,প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই পুলিসের ২ টি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভাঙচুর চালানো হয়েছে একাধিক গাড়িতে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শূন্যে গুলি চালায় পুলিস। চলে বেপরোয়া লাঠিচার্জ, টিয়ার গ্যাসও ছোড়ে পুলিস।  তাতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিসকে লক্ষ্য করে চলতে থাকে ইটবৃষ্টি। মারমুখী জনতা ভয়ে একসময়ে এলাকা ছেড়ে পালাতে দেখা যায় পুলিসকে।  

ভৈরব নদীর দুপাশে এখন থিকথিক করছে মানুষ। প্রশাসনের ওপর কার্যত আস্থা হারিয়ে এখনও নদীতে নেমে উদ্ধারকাজ শুরু করেছেন গ্রামবাসীরাই। এখনও পর্যন্ত ৭ বাস যাত্রীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সূত্রের খবর, কলকাতা থেকে উদ্ধারকারী দল মুর্শিদাবাদের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। এখনও পর্যন্ত বাস দুর্ঘটনায় কজনের সলিল সমাধী হয়েছে , তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। ৭ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও, বাকি ৫২ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা এখনও সম্ভব হয়নি।  

.