C V Ananda Bose | Bratya Basu: উপাচার্যহীন ১১ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য রাজ্যপাল-ই! পালটা 'সুপ্রিম' হুঁশিয়ারি ব্রাত্যর
'যাহা চালভাজা, তাহা-ই মুড়ি! যিনি আচার্য, তিনি-ই উপাচার্য! কোন আইনের বলে উনি এটা করলেন? আমার মাথায় ঢুকছে না!'
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্য়ায়: রাজ্য-রাজ্যপাল বেনজির সংঘাত। উপাচার্যহীন ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের দায়িত্ব সামলাবেন রাজ্যপাল নিজেই। নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের। রাজ্যপালের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি শিক্ষামন্ত্রীর।
অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য না থাকায় সমস্যায় পড়ুয়ারা। পড়ুয়াদের সেই সমস্যা মেটাতেই পদক্ষেপ রাজ্যপালের। রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতের আবহেই নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত সি ভি আনন্দ বোসের। রাজ্যের যে ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নেই, সেখানে উপাচার্য নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত নিজেই সেই দায়িত্ব সামলাবেন বলে জানিয়েছেন আচার্য সি ভি আনন্দ বোস। এদিকে রাজ্যপাল এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতেই পালটা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। রাজ্যপালের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ শিক্ষামন্ত্রী। ব্রাত্য বসু প্রশ্ন তুলেছেন, 'আচার্য-ই উপাচার্য! কীভাবে সম্ভব?' এই প্রসঙ্গে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, 'এপ্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। বলতে চাই যে, মহামান্য আদালত যদি লক্ষ্য করেন যে, রাজ্যপাল বাংলা প্রবাদকে কীভাবে গুরুত্ব দিচ্ছেন! যাহা চালভাজা, তাহা-ই মুড়ি! যিনি আচার্য, তিনি-ই উপাচার্য! কোন আইনের বলে উনি এটা করলেন? আমার মাথায় ঢুকছে না!'
টিএমসিপি রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য এপ্রসঙ্গে বলেন, 'রাজ্যের সঙ্গে ও শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে যদি এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতেন, তাহলে সেটা সমগ্র রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা ও আগামী ভবিষ্যতের জন্য ভালো হয়। তিনি কতটা অদক্ষ, তাঁর কতটা বোধগম্যি কম, সেটাই বোঝা যায়। কারণ ভিসি-র মত একটা সিরিয়াস পোস্ট, যেখানে নিত্যনৈমিত্তিক কাজ। আমি জানি না, তার কাছে হাতে তালি মেরে ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে একসঙ্গে পৌঁছে যাওয়ার কোনও ব্যবস্থা আছে কিনা! তাঁর শুভ বুদ্ধি উদয় হোক, এই কামনা-ই করি!'
ওদিকে এসএফআই রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য রাজ্যপালের সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করে বলেন, 'ফাটাফাটি সিদ্ধান্ত! দুরন্ত সিদ্ধান্ত! মুখ্যমন্ত্রী এতদিন আচার্য হতে চাইছিলেন। তৃণমূলের অধ্যাপকরা এই নিয়ে বাজার গরম করছিলেন। আরও ভালো হয়, ষোলো কলা পূর্ণ হয়ে যায়, যদি রাজ্যপাল উপাচার্য আর মুখ্যমন্ত্রী আচার্য হয়ে যান। তাহলে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাব্যবস্থা তরতরিয়ে এগোবে। যা হচ্ছে এটাকে ছ্যাবলামো ছাড়া আর কিছু বলা যায় না। রাজ্যপাল রাজভবন, নবান্ন, শিক্ষামন্ত্রক, বিকাশভবন এই দড়ি টানাটানির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে ফেলে প্র্যাকটিক্যালি ধ্বংস করছেন। রাজ্যপাল নতুন করে যে নাটকের অবতারণা করলেন, তাকে ছ্যাবলামো ছাড়া আর কিছু বলতে পারছি না!'