CAA: রাজ্য না চাইলেও এখানে CAA লাগু হবে; দাবি সুকান্তর, গুজরাটে হয়েছে? পাল্টা অধীরের
শান্তনু সেন বলেন, বিজেপি রাজ্য সম্পাদক যা বললেন তা থেকে আরও একবার প্রমাণ হল বিজেপি গণতান্ত্রিক পন্থপদ্ধতির তোয়াক্কা করে না
![CAA: রাজ্য না চাইলেও এখানে CAA লাগু হবে; দাবি সুকান্তর, গুজরাটে হয়েছে? পাল্টা অধীরের CAA: রাজ্য না চাইলেও এখানে CAA লাগু হবে; দাবি সুকান্তর, গুজরাটে হয়েছে? পাল্টা অধীরের](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/02/19/365487-2.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যে সিএএ লাগু হবে। সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকার সম্মতি থাক বা না থাক। পুরভোটের প্রচারে গিয়ে এমনটাই দাবি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পাল্টা বিজেপিকে নিশানা করলেন অধীর চৌধুরী ও শান্তনু সেন।
মুর্শিদাবাদে পুরভোটের প্রচারে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার(Sukanta Majumdar) বলেন, রাজ্য সরকারকে নিয়ে বা বাজ্য সরকারকে এড়িয়ে বাংলায় সিএএ লাগু করা হবে। সুকান্তবাবু বলেন, 'মুর্শিদাবাদ একটি বিশেষ জেলা। পূর্ব পাকিস্তান থেকে এই জেলা ভারতে এসেছে। সেইজন মুর্শিদাবাদ বাসীদের আরও সতর্ক হতে হবে। বুঝতে হবে তাদের ভবিষ্যত কোন দিকে যাচ্ছে। তারা যদি তা না বোঝেন তাহলে তাদের ভবিষ্যত অন্ধকারের দিকেই যাবে। ইতিমধ্যেই এখানে পিএফআই(PFI) তাদের কর্মসূচি পালন করেছে। রাজ্যের সংখ্য়াগরিষ্ঠ সম্প্রদায়কে এই বিষয়টি বুঝতে হবে যে এর মধ্যে কোন বিপদ লুকিয়ে রয়েছে। সেটা বুঝেই আপনাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে হবে।'
এনিয়ে পাল্টা তোপ দাগলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী(Adhir Chowdhury)। অধীরবাবু বলেন, ভোটের বাজারে আবার সেই সাম্প্রদায়িকতার ধ্বনি। যদি কিছু ভোট পাওয়া যায়! সিএএ(CAA) দু'বছর আগে পাস হয়ে গিয়েছে। ক্ষমতা হয়েছে ওদের চালু করার? আমাদেরটা বাদই দিন। এটা তো বিজেপির রাজ্য নয়! বিজেপি নিজের রাজ্যে চালু করতে পেরেছি কি? উত্তরপ্রদেশ বিজেপির রাজ্য, গুজরাট বিজেপির রাজ্য। বিজেপি নিজের রাজ্যে সিএএ চালু করতে পেরেছে কি? আইন বানাতে পেরেছে কি? জানে না শোনে না এরা, বেকার যত, ফালতু কথা বলে। সুপ্রিম কোর্টে গেলেই খারিজ হবে। সিএএ যে আইন আনা হয়েছে ভারতবর্ষের সংবিধানকে পুরো অবজ্ঞা করে অস্বীকার করে করা হয়েছে। এখন ভোটের সময়। এখন যদি এসব বলে কিছু ভোট পাওয়া যায়।
সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য নিয়ে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, বিজেপি রাজ্য সম্পাদক যা বললেন তা থেকে আরও একবার প্রমাণ হল বিজেপি গণতান্ত্রিক পন্থপদ্ধতির তোয়াক্কা করে না। রাজ্যগুলির কোনও গুরুত্ব তাদের কাছে নেই। তাই তিনি বলতে পারলেন যে রাজ্য সরকারকে এড়িয়ে সিএএ লাগু করব। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একরকম বলছেন। তিনি অন্যরকম বলছেন। সাহস থাকলে সংসদে দাঁড়িয়ে একথা বলুন। নিজের দলেই আপনার প্রবল বিরোধিতা হচ্ছে। আগে নিজের ঘর সামলান। পরে অন্য কথা বলবেন।
আরও পড়ুন-গরুপাচারকাণ্ডে নয়া মোড়! এবার ইডির হাতে গ্রেফতার এনামুল