Malbazar Cheeta: দরজা খুলতেই হাড়হিম, কাঠের সিঁড়ি বেয়ে সোজা দোতলায় উঠে এসেছে চিতাবাঘ
এদিকে চিতাবাঘটির ওঠানামার সময়ে ঘর কিছুটা কেঁপে ওঠায় ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েন বাবুল হোসেনের ছেলে তাজমুল হক। দরজা খুলেতেই দেখতে পান সামনে দাঁড়িয়ে একটি চিতাবা
অরূপ বসাক: রাতবিরেতে বাড়িতে হানা দিয়ে ছাগল, মুরগী তুলে নিয়ে যাওয়া আকছারই ঘটে জলপাইগুড়ির মালবাজারের বিভিন্ন গ্রামে। এবার চিতাবাঘ সিঁড়ি বেয়ে উঠে পড়ল বাড়ির দোতলায়। বাড়ির লোক শব্দ পেয়ে দরজা খুলতেই ভিড়মি খাওয়ার জোগাড়। সামনে দাঁডিয়ে পূর্ণবয়স্ক এক চিতাবাঘ। আতঙ্ক চিত্কার করে ওঠায় জড়ো হয়ে যান প্রতিবেশীরা। চোখের সামনে লাফ দিয়ে পাশের জঙ্গলে অদৃশ্য হয়ে যায় বাঘটি। মালবাজারের মেটেলি ব্লকের মাটিয়ালি বাতাবাড়ি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের গরুমারা জঙ্গল সংলগ্ন দক্ষিণ ধূপঝোরা ভবেশ্বরপড়া এলাকা। সোমবার রাতে বৃষ্টি হচ্ছিল। রাত একটা নাগাদ একটি চিতাবাঘ এলাকার বাবুল হোসেন নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢোকে। তারপর তার বাড়ির কাঠের সিঁড়ি বেয়ে সোজা উঠে যায় দোতলার বারান্দায়। সেখানে খাবার কোনও কিছু না পেয়ে ফের সিঁড়ি বেয়ে নীচে নেমে আসে।
আরও পড়ুন-সৌরভকে সরিয়েই দেওয়া হল, কেন?
এদিকে চিতাবাঘটির ওঠানামার সময়ে ঘর কিছুটা কেঁপে ওঠায় ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েন বাবুল হোসেনের ছেলে তাজমুল হক। দরজা খুলেতেই দেখতে পান সামনে দাঁড়িয়ে একটি চিতাবাঘ। তার চিত্কারে চিতাবাঘটি লাফ দিয়ে পালায়। বাড়ির পাশেই রয়েছে বেশ কয়েকটি ছোটবড় চা বাগান। সেখান থেকে প্রায়ই চিতাবাঘ গৃহস্থ বাড়িতে ঢুকে ছাগল, মুরগী ধরে নিয়ে জঙ্গলে পালিয়ে যায়। গতরাতের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়ে যায়। বিষয়টি জানানো হয়েছে বন দফতরে।
উল্লেখ্য, গতবছর মে মাসে তিন দিনের মধ্যে ৩টি চিতাবাঘকে খাঁচাবন্দি করে বন দফতর। এলাকায় উপদ্রব করায় তাদের খাঁচা পেতে ধরেন বনকর্মীরা। এবছর মে মাসে রাস্তায় মেলে একটি চিতাবাঘের মৃতদেহ। নাগরাকাটায় ওই চিতার মাথায় একটি গভীর আঘাতের চিহ্ন ছিল।