Bardhaman Child Death: বন্ধুর দেওয়া 'হজমি'তেই ছিল বিষ! মুখ দিতেই বমি, শেষপর্যন্ত মৃত্যু পড়ুয়ার
কুলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুহাশীষ রঞ্জন দত্ত বলেন, ক্লাস চলাকালীন বিনয় বমি করতে শুরু করে। তাকে সাফ করে দেওয়া হয়। ওর জামায় বমি লেগে যায়। সেই বমি ধোয়ার সময় ফের বমি শুরু করে বিনয়
পার্থ চৌধুরী: স্কুলে গিয়ে ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা। বন্ধুদের সঙ্গে হজমি জাতীয় কোনও জিনিস খেয়েছিল বর্ধমানের খন্ডঘোষ থানার কুলে প্রাইমারি স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়া বিনম মণ্ডল। সেই হজমিই প্রাণ কেড়ে নিল বছর নয়ের ওই খুদের। নিহতের বাবার দাবি, হজমি নয় আসলে দেওয়া হয়েছিল কীটনাশক।
আরও পড়ুন-বহুদিন পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন, চিটফান্ড মামলায় গ্রেফতার যুব তৃণমূল নেতা
মৃত ছাত্রের বাবা নিরোদবরণ মণ্ডল জানান, বুধবার স্কুলে গেলে বিনয়কে তার এক সহপাঠী হজমোলার মতো দেখতে একটি জিনিস খেতে দেয়। সেটি খেয়েই সে বমি করতে শুরু করে। বারবার বমি করে অসুস্থ হয়ে পড়লে শিক্ষকরা তার স্কুলেই তার শুশ্রুষা করেন। কিন্তু শরীর আরও খারাপ হওয়ায় প্রথমে তাকে কুলে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও পরে তাকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়।
মৃত ছাত্রের বাবার দাবি, বিনয়কে হজমি বলে যা দেওয়া হয়েছিল তা আসলে কীটনাশক। কুলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুহাশীষ রঞ্জন দত্ত বলেন, ক্লাস চলাকালীন বিনয় বমি করতে শুরু করে। তাকে সাফ করে দেওয়া হয়। ওর জামায় বমি লেগে যায়। সেই বমি ধোয়ার সময় ফের বমি শুরু করে বিনয়। ওই সময় ক্লাসের একটি বাচ্চা বলে, মাটির মতো একটি চকলেট খাওয়ার পরই বমি শুরু করে বিনয়। ওর বমির সঙ্গে প্রবল দুর্গন্ধ ছিল। সঙ্গে সঙ্গে ওকে কুলে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র নিয়ে যাওয়া হয়।
মৃত ছাত্রের বাবা বলেন, ভর্তির পর সন্ধেয় ডাক্তার বলে গেল কোনও সমস্যা নেই। ইসিজি, এক্সরে-তে কোনও সমস্যা নেই বলেও জানানো হয়। ডাক্তার বললেন, পর হয়তো হার্টে বা কিডনিতে কোনও সমস্য়া হতে পারে। রাতে ও মায়ের সঙ্গে ভিডিয়ো কলে কথা বলেছে। পর নাকি ওকে একটা ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। তার পরেই ও ঢলে পড়ে। যে ট্যাবলেট বিনয়কে দেওয়া হয়েছিল সেরকম ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে। অন্য অনেক ছাত্রকেও ওই ট্যাবলেট দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তা তারা খায়নি।