Chinsurah: মাইনে না পেয়ে ধর্মঘটে, চুঁচুড়াকে অন্ধকার করে দিলেন ক্ষুব্ধ বিদ্যুত্কর্মীরা!
Chuchura: চুঁচুড়া শহরে আলো জ্বলেনি সন্ধ্যে থেকে। স্ট্রিট লাইট হাইমাস্ট লাইট জ্বালানোর দ্বায়িত্ব যাদের তারা কাজ করেনি। দুপুর থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত চেয়ারম্যানকে ঘেরাও করে রাখে কর্মীরা।
![Chinsurah: মাইনে না পেয়ে ধর্মঘটে, চুঁচুড়াকে অন্ধকার করে দিলেন ক্ষুব্ধ বিদ্যুত্কর্মীরা! Chinsurah: মাইনে না পেয়ে ধর্মঘটে, চুঁচুড়াকে অন্ধকার করে দিলেন ক্ষুব্ধ বিদ্যুত্কর্মীরা!](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2024/11/18/504671-chuchura.png)
বিধান সরকার: বেতন পায়নি চুঁচুড়া পুরসভার অস্থায়ী কর্মীদের একাংশ তাই আলো জ্বলল না। অন্ধকার শহর। চুঁচুড়া শহরে আলো জ্বলেনি সন্ধ্যে থেকে। স্ট্রিট লাইট হাইমাস্ট লাইট জ্বালানোর দ্বায়িত্ব যাদের তারা কাজ করেনি। দুপুর থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত চেয়ারম্যানকে ঘেরাও করে রাখে কর্মীরা। আগামীকাল এক মাসের বেতন হবে আশ্বাস মিলেছে পুরসভার তরফে। কাল মহকুমা শাসককে স্মারক লিপি জমা দেবে মহিলাকর্মীরা।
পুরসভার তৃণমূল পরিচালিত শ্রমিক সংগঠনের পক্ষে জানানো হয় বেতন না হওয়া পর্যন্ত দিনের বেলার রক্ষণাবেক্ষণ থেকে শুরু করে রাত্রিবেলা আলো জ্বালানোর কাজ বন্ধ থাকবে। ফলে শহর অন্ধকারই থাকবে।
বিগত কয়েক মাস ধরে পৌর কর্মচারীদের বেতন অনিয়মিত। পুরসভার সি আই সি জয়দেব অধিকারী জানান,কর্মীরা বেতন পাচ্ছেন না তাই তারা কাজ বন্ধ করে দিচ্ছেন। জরুরী পরিষেবা বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়ছে। পুরসভার আয় বাড়াতে না পারলে বেতন সমস্যা মিটবে না। তাই কি করে পুরসভার আয় বাড়ানো যায় সেটা নিয়ে পর্যালোচনা করা দরকার। আশা করি চেয়ারম্যান কর্মীদের বেতনের ব্যবস্থা করবেন। পুরো কর্মচারীরা কাজে ফিরবেন।
চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, 'পৌর কর্মচারীরা বেতন পাচ্ছেন না সেটা আমাকে জানায়নি কেন। বেতন দেওয়া যাচ্ছে না সেটা চেয়ারম্যানও জানায়নি। তাই এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। তবে জরুরী পরিষেবা চালু রাখা প্রয়োজন। পুরসভার এই অবস্থার কথা উচ্চ নেতৃত্ব টা জানেন তারা নিশ্চয়ই কোন ব্যবস্থা নেবেন।'
উল্লেখ্য, চুঁচুড়ায় রবিবার এক অন্য ঘটনায় সকলের হতচকিত করে দেয়। জানা যায়, মন্দিরে চুরি করতে ঢুকেছিল ২ যুবক। মন্দির থেকে জিনিসপত্র নিয়ে বের হতেই আসপাশের লোকজন তাদের দেখে ফেলে। একজন পালাতে সক্ষম হলেও অন্যজন রাস্তায় পড়ে ছটফট করতে দেখা যায়। এনিয়ে চাঞ্চল্য শুরু হয় এলাকায়। রবিবার ওই ঘটনা ঘটে চুঁচুড়া পুরসভার পাঠকবাগান এলাকায়।
স্তানীয় সূত্রে খবর, রবিবার দুপুরে পাঠকবাগানের একটি মন্দিরে ঢোকে ২ যুবক। মন্দির থেকে তারা একটি ওভেন ও থালাবাসন নিয়ে বের হয়। সেইসব জিনিসপত্র নিয়ে বের হওয়ার সময় তাদের দেখে ফেলে স্থানীয় মানুষজন। তা দেখে এক যুবক দৌড় লাগায়। অন্যজন মাটিতে পড়ে ছটফট করতে থাকে। ওই যুবককে ঘিরে ধরে জনতা। খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিস এসে ওই যুপবককে একটি টোটোতে তুলে চুঁচুড়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিত্সার পর তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে থাকে চুঁচুড়া আদালতে পেশ করা হয়। পুলিস জানিয়েছে, নেশার টাকা জোগাড় করতেই তারা মন্দিরে হানা দেয়। উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটি ও হালিশহর থেকে এসেছিল তারা। গৃহস্থ বাড়ির মন্দিরে ঢুকে পড়ে চুরির উদ্দেশ্য।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)