ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিয়ে স্বজনপোষণের অভিযোগ, পটাশপুর গ্রামে পুলিস-গ্রামবাসীর সংঘর্ষ
বিক্ষোভ, অবরোধের পর পুলিসের সঙ্গে গ্রামবাসীদের সংঘর্ষ। পুলিসের লাঠিচার্জ। ঘটনায় আহত বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী ও পুলিসকর্মী।
![ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিয়ে স্বজনপোষণের অভিযোগ, পটাশপুর গ্রামে পুলিস-গ্রামবাসীর সংঘর্ষ ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিয়ে স্বজনপোষণের অভিযোগ, পটাশপুর গ্রামে পুলিস-গ্রামবাসীর সংঘর্ষ](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2020/07/03/259201-untitled-1.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যজুড়ে আমপানে ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিয়ে সর্বত্র স্বজনপোষণের অভিযোগ। সেই স্বজনপোষনের অভিযোগে ফের উত্তপ্ত পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর গ্রাম।
বিক্ষোভ, অবরোধের পর পুলিসের সঙ্গে গ্রামবাসীদের সংঘর্ষ। পুলিসের লাঠিচার্জ। ঘটনায় আহত বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী ও পুলিসকর্মী। কয়েকদিন ধরে আমপানে সরকারি ক্ষতিপূরণ বন্টন নিয়ে চাপা ক্ষোভ তৈরি হয় পটাশপুর গ্রামে।
আরও পড়ুন: আত্মহত্যা? সার্ভিস রিভলবারের গুলিতে মহাকরণে কর্তব্যরত পুলিসের মৃত্যু
গ্রামের অধিকাংশ মানুষের অভিযোগ সরকার আমপানে ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য যে টাকা দিয়েছে তা দিয়ে চলছে স্বজনপোষন। এই অভিযোগে শুক্রবার এগরা-বাজকুল রাজ্য সড়কের পটাশপুর ১ নম্বর ব্লকের মতিরামপুর এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় গ্রামবাসীরা। রাজ্য সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে যাওয়াতে যানযটের সৃষ্টি হয়।
ঘটনার খবর পেয়ে পটাশপুর ২ পঞ্চায়েতের সভাপতি চন্দন সাউ ঘটনাস্থলে আসেন। এতেই যেন আগুনে ঘি পড়ে। ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামবাসীরা ক্ষতিপূরণ না পেয়ে পঞ্চায়েত সভাপতিকে ঘিরে ধরে স্বজনপোষনের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে।
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত লকেট চট্টোপাধ্যায়, নিজেই পোস্ট করে জানালেন বিজেপি সাংসদ
বিক্ষোভের তীব্রতা যখন দানা বাঁধতে শুরু করে তখন পটাশপুর থানার বিশাল পুলিস বাহিনী ও এগরা মহকুমা পুলিস আধিকারিক সেক আকতার আলি ঘটনাস্থলে এসে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তাতে ফল উল্টো হয়।
পুলিসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় পটাশপুর গ্রামের আমপানে ক্ষতিগ্রস্থ ক্ষতিপূরণ না পাওয়া গ্রামবাসীরা ।এরপরই পুলিসের সঙ্গে খন্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় গ্রামবাসীদের। প্রথমে পুলিস নানাভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করে।
কিন্তু পরিস্থিতি ক্রমশ নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে লাঠিচার্জ করে পুলিস। পাল্টা আঘাত করে গ্রামবাসীরা। পুলিসের অভিযোগ গ্রামবাসীদের ছোঁড়া ইটের ঘায়ে বেশ কয়েকজন পুলিসকর্মী আহত হয়েছেন। পুলিসের লাঠির আঘাতে বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী আহত দয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছে।
পুলিস-গ্রামবাসীর সংঘর্ষের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যেতে পারে, এই আশঙ্কায় পুলিস কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সেই সময় এগরার SDPO শেখ আকতার আলি গুলি চালানোর হুঁশিয়ারি দেন বলে অভিযোগ করে গ্রামবাসীরা। এই মুহূর্ত্বে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে থাকলেও এলাকায় পুলিসের টহল চলছে।