গাছের ডালে একই দড়িতে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে যুগল, কারণ ঘিরে রহস্য
দেখতে পাওয়া যায়, গাছের একটি ডালের একই দড়ির দুপ্রান্তে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলন্ত যুগল। দুজনই অত্যন্ত পরিচিত মুখ গ্রামে। বছর পনেরোর কিশোরী উমা গাঙ্গুলি ও কার্তিক কোটালকে গ্রামের অনেকেই বেশ ভালো ভাবে চিনতেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: গাছের ডালে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী প্রেমিক-প্রেমিকা। দোলের দিনও মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের খড়ার এলাকা।
দোলের দিন, সকলের মন রঙিন। তবে তখনও একে অপরকে রঙ মাখানোর খেলায় মাতেননি খড়ার কৃষ্ণপুর গাজন পুকুরপাড়ের বাসিন্দারা। গ্রামের ধারেই মাঠ আর সেই মাঠেরই এক গাছের দিকে চোখ পড়তেই ছ্যাঁক করে ওঠে ওই গ্রামের এক বাসিন্দার। মুহূর্তের মধ্যে খবর চাউর হয়ে পড়ে গোটা গ্রামে। দেখতে পাওয়া যায়, গাছের একটি ডালের একই দড়ির দুপ্রান্তে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলন্ত যুগল। দুজনই অত্যন্ত পরিচিত মুখ গ্রামে। বছর পনেরোর কিশোরী উমা গাঙ্গুলি ও কার্তিক কোটালকে গ্রামের অনেকেই বেশ ভালো ভাবে চিনতেন।
আরও পড়ুন: রং খেলতে গিয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক
দুজনের মধ্যে প্রেম ছিল। গ্রামের রাস্তাঘাটে প্রায় সময়ই একসঙ্গে দেখতে পাওয়া যেত তাঁদের। তাঁদের প্রেম নিয়ে পরিবারে যে একটা অশান্তি ছিল, তাও জানতেন অনেকে। কিন্তু তাঁরা যে এই পথ বেছে নেবে, ভাবতে পারেননি কেউ। উমার বাড়ি ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ও কার্তিক ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। কার্তিক বিবাহিত হলেও ইদানীং উমাতেই মজেছিল তাঁর মন। সেই নিয়ে তাঁর পরিবারেও অশান্তি ছিল।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে অশালীন মন্তব্য করে পোস্ট প্রেমিকের, আত্মঘাতী তরুণী
তবে ঠিক কী কারণে আত্মঘাতী, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ঘাটাল থানার পুলিস।