১০ কোটিতে জমি! মণীশের সম্পত্তির দলিল ঘাঁটতেই গরুপাচার কাণ্ডে ইডির নজরে আরও ২ তৃণমূল নেতা
মণীশ কোঠারিকে গ্রেফতার করার পরই সামনে এসেছে তাঁর বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির কাগজপত্র। সেখানেই এবার সামনে এল মণীশ কোঠারি, তৃণমূল নেতা সুদীপ্ত ঘোষ ও বোলপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান পর্না ঘোষের যৌথ জমির কাগজ।
প্রসেনজিত্ মালাকার: এ যেন কেঁচো খুঁড়তেই একের পর এক কেউটে বেরিয়ে আসার মত! গরুপাচার কাণ্ডে অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে গ্রেফতার করার পর, এবার নাম জড়াল বীরভূমের বোলপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান পর্ণা ঘোষ ও তাঁর স্বামী বীরভূম জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সুদীপ্ত ঘোষের। প্রায় ১০ কোটি টাকা দিয়ে মণীশ কোঠারির সঙ্গে জমি কিনেছিলেন সুদীপ্ত ও পর্ণা ঘোষ। এবার সামনে এল এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিরোধীদের কটাক্ষ, এই সবকিছু-ই ঘটেছে গরুপাচারের টাকায়।
গরুপাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে গ্রেফতার করার পরই সামনে এসেছে তাঁর বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির কাগজপত্র। সেখানেই এবার সামনে এল মণীশ কোঠারি, তৃণমূল নেতা সুদীপ্ত ঘোষ ও বোলপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান পর্না ঘোষের যৌথ জমির কাগজ। এখন মণীশ কোঠারি সম্পত্তি নিয়ে ইতিমধ্যেই রয়েছে ইডির নজর। ফলে এবার ইডির নজরে ঢুকে পড়লেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের একসময়ের সবথেকে ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা সুদীপ্ত ঘোষ ও তার স্ত্রী পর্ণা ঘোষের নামও।
বীরভূমের ইলামবাজার এলাকার গোপালনগর গ্রামে প্রায় ২০ বিঘা জমি কেনা হয়েছে।। যে জমির বাজার মূল্য আনুমানিক ১৫ কোটি টাকা। সেই জমির মালিকানায় নাম রয়েছে মণীশ কোঠারি ও তাঁর পরিবারের আত্মীয়দের। পাশাপাশি বোলপুরের তৃণমূল নেতা সুদীপ্ত ঘোষ ও পর্ণা ঘোষেরও নাম রয়েছে সেখানে। এঘটনা সামনে আসতেই অস্বস্তিতে পড়ে যান বোলপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান পর্ণা ঘোষ। তিনি গোটা বিষয়টাই অস্বীকার করেন। কিন্তু কোনও ব্যক্তি স্বাক্ষর ছাড়া তো জমির রেজিস্ট্রি কোনওভাবেই সম্ভব নয়। ফলে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে তিনি মিথ্যা কথা বলছেন কেন?
বিরোধীরা ইতিমধ্যেই অভিযোগ করতে শুরু করেছে যে, মণীশ কোঠারি বিপুল সম্পত্তির পিছনে রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের গরুপাচারের কালো টাকা। তাহলে কি এই গরু পাচারের কালো টাকার সঙ্গে যুক্ত সুদীপ্ত ঘোষ, পর্ণা ঘোষরাও? প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। সবদিক খতিয়ে দেখে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করে দিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন, ৩.৬০ কোটিতে কোম্পানি, সঙ্গে ১৫ কোটির সম্পত্তি মেয়েকে লিখে দিতে মণীশকে বাধ্য করেন কেষ্ট!