Cow Smuggling: অনুব্রতর রাঁধুনির অ্যাকাউন্টে ৬০ লাখ টাকা লেনদেন! 'ওর তো পাসবই নেই', তাজ্জব বাবা
Cow Smuggling:বিজয় রজকের প্রতিবেশী মিরা খটিক বলেন, "বিজয়কে আমরা ছোট থেকে দেখেছি, আজও ওর ব্যবহারে কোন পরিবর্তন হয়নি। ছোট থেকেই খুব ভালো ছেলে । ওর বাবা মদনলাল রজক লন্ড্রি করেই সংসার চালান । বিজয়কে দেখে কখনো মনে হয়নি ও এই কাজ করতে পারে
প্রসেনজিত্ মালাকার: অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল, প্রাক্তন দেহরক্ষী সেহগল হোসেনের বিপুল সম্পত্তির সন্ধান পেয়েছে ইডি। কিন্তু ওইসব সংক্রান্ত সব প্রশ্নের উত্তর জানতে ইডিকে তাঁর সিএ মণীশ কোঠারির দিকে ঠেলে দিয়েছেন অনুব্রত ও তাঁর মেয়ে সুকন্যা। এবার অনুব্রতর রাঁধুনি বিজয় রজকের অ্যাকাউন্টেও লাখ লাখ টাকা লেনদেনের হদিস পাওয়া হিয়েছে। সেই টাকার পরিমাণ ৬০ লাখ। কীভাবে ওই টাকা তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এল তা নিয়ে এবার খোঁজ খবর করছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। অন্যদিকে, ওই রাঁধুনির পরিবারের দাবি, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।
আরও পড়ুন-'সংখ্যালঘুদের জন্য কী করতে চাইছেন?' কথা শুরু করেই নওশাদ সিদ্দিকিকে ধাক্কা যুবকের
বিজয় রজকের বাবার দাবি, ও কোনও কিছুতে জড়িত নয়। ওকে ফাঁসানো হয়েছে। সব মিথ্যে কথা। আমার ছেলে পার্টি অফিসে যাওয়া আসা করত। ওর কাছে যখন যা কিছু চাইতো তখন তা ও দিয়েছে। ওইসব নথি না দিলে ওকে তাড়িয়ে দিত। কখনও আধার কার্ড চেয়েছে। আধার নিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলে কয়েকটা চেকে সইও করিয়েছে। সিবিআই যখন কলকাতায় ওকে ডাকে তখনই অ্যাকাউন্টের কথা জানতে পারি।
"আমার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে। ওরা আমার ছেলেকে বাড়ি ও বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা দেবে বলে ওর আধার কার্ড, পাসপোর্ট ফটো নিয়ে গিয়েছিল। এমনকি বেশ কয়েকটা চেকেও সই করিয়েছে। কিন্তু আমার ছেলে তখন জানতো না যে তার ডকুমেন্ট দিয়ে ভুয়ো একাউন্ট খোলা হয়েছে। না বিজয়ের কাছে ছিল সেই সব একাউন্টের কোনও পাসবই বা এটিএম কার্ড। পরে যখন সিবিআই ইডি ডাকে তারপরে বিজয় ও আমরা জানতে পারি তার নামে বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে এবং সেই একাউন্ট থেকে কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। ওরা বিজয়কে ব্যবহার করে নিয়েছে। বিজয়কে ফাঁসিয়ে দিয়েছে।", কাতর কণ্ঠে জানালেন বিজয় রজকের বাবা মদনলাল রজক।
বিজয় রজকের প্রতিবেশী মিরা খটিক বলেন, "বিজয়কে আমরা ছোট থেকে দেখেছি, আজও ওর ব্যবহারে কোন পরিবর্তন হয়নি। ছোট থেকেই খুব ভালো ছেলে । ওর বাবা মদনলাল রজক লন্ড্রি করেই সংসার চালান । বিজয়কে দেখে কখনো মনে হয়নি ও এই কাজ করতে পারে । আর তাছাড়াও আজও তার ব্যবহারে কখনো কোন পরিবর্তন হয়নি । না কখনো দেখেছি তার কোন বড়লোকি চাল । আমাদের মনে হয় না ও এই কাজ করতে পারে।"
এমন কথাই বললেন প্রতিবেশী যুবক আদিত্য খটিক। তাঁর দাবি, "যদি অত টাকার মালিক হতো তাহলে তার অহংকার বাড়তো , ক্ষমতা বাড়তো । কিন্তু না কখনো তার অহংকার বেড়েছে না কখনো সে আমাদের ক্ষমতা দেখিয়েছে । আর ওদের বাড়ির অবস্থাও খুব একটা ভালো নয় বাবা লন্ড্রি চালায় সেখানে আমরাও জামাকাপড় দিই। আর আমাদেরকে এখনো বিজয়দা ছোট ভাইয়ের মতনই ভালোবাসে । এখন তো অনেকেই অনেক ভাবে ফেঁসে যাচ্ছে । আমাদের মনে হয় ওকেও ফাঁসানো হয়েছে ।'