দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন দাড়িভিট স্কুলে নিহত ২ ছাত্রের পরিবার

 স্কুলে গুলিচালনায় দুই ছাত্রের মৃত্যুর পর থেকেই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে রাজেশ ও তাপসের পরিবার। প্রধানমন্ত্রীর ডাক পেয়ে তাঁরা সুবিচারের আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছেন।

Updated By: Jul 22, 2019, 01:06 PM IST
দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন দাড়িভিট স্কুলে নিহত ২ ছাত্রের পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদন: দাড়িভিটকাণ্ডে নিহত দুই ছাত্রের পরিবারকে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। নিহত দুই ছাত্র রাজেশ সরকার ও তাপস বর্মনের পরিবার রবিবার ইসলামপুরের আলুয়াবাড়ি স্টেশন থেকে রওনা দেন। স্কুলে গুলিচালনায় দুই ছাত্রের মৃত্যুর পর থেকেই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে রাজেশ ও তাপসের পরিবার। প্রধানমন্ত্রীর ডাক পেয়ে তাঁরা সুবিচারের আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছেন।

 

২০১৮ সালের ,২০ সেপ্টেম্বর ইসলামপুরের দাড়িভিট হাই স্কুলে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে ছাত্র  পুলিশ সংঘর্ষ হয়।  ওই ঘটনায় গুলিতে দু’জন ছাত্রের মৃত্যু হয়।  পাশাপাশি একজন ছাত্র  মারাত্মকভাবে আহত হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনিতি উত্তাল হয়ে ওঠে।  স্থানীয় বাসিন্দারা স্কুলে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।

দিল্লির পথে বিজেপির ৩১ ‘শহিদ’-এর পরিবার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত্ হবে

প্রায় ৫২ দিন স্কুল বন্ধ থাকার পরে স্কুলে পঠন পাঠন শুরু হয়।  ঘটনার দিন থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা ও নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে সিবিআই তদন্তের দাবি জানানো হয়।  রাজ্য সরকার ওই ঘটনার সিআইডি তদন্ত শুরু করলেও নিহতদের পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা তাতে সহযোগিতা করেননি। বিজপির পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে রাষ্ট্রপতি, অমিত শাহ ও জাতীয় মানবধিকার কমিশনের সঙ্গে দেখা করানো হয়েছিল। লোকসভা নির্বাচনের আগে শিলিগুড়িতে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে প্রচারে গিয়ে দাড়িভিটের নিহতদের পরিবারকে সিবিআই তদন্তের ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছিলেন।  নরেন্দ্র মোদীর দ্বিতীয়বার শপথ গ্রহনের অনুষ্ঠানে তাঁদের ডাকা হলেও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁরা কথা বলার সুযোগ পাননি। এরপর প্রধানমন্ত্রী ফের তাঁদের ডেকে পাঠান।এবার সুবিচারের আশায় বুক বেঁধেছেন তাঁরা।

এছাড়াও দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিচ্ছেন বিজেপির নিহত কর্মী সমর্থকদের পরিবার। বিজেপির দাবি, ৩১ জন ‘শহিদ’  এর পরিবার দিল্লিতে যাচ্ছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন পরিবারের সদস্যরা।

.