ভোট দেওয়া হল না, বেরনোর আগেই পণের দাবিতে খুন বছর কুড়ির যুবতী
ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে চালাতে মৃত দেহ পাখার সঙ্গে ঝুলিয়ে দেয় তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
![ভোট দেওয়া হল না, বেরনোর আগেই পণের দাবিতে খুন বছর কুড়ির যুবতী ভোট দেওয়া হল না, বেরনোর আগেই পণের দাবিতে খুন বছর কুড়ির যুবতী](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2019/05/20/193579-dowry-680x365.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিয়ের আগে অবধিও কোনও দাবিদাওয়া ছিল না ছেলের বাড়ির তরফে। কার্যত এক কারড়ে আনারই ইচ্ছে প্রকাশ করেছেলেন তাঁরা। তবে ছবিটা বদলে গেল বিয়ের পরদিন থেকেই। পণের অত্যাচার বাড়তে বাড়তে শেষে পিটিয়ে খুন করা হল কুড়ি বছর বয়সী গৃহবধূকে। মৃতার নাম জসমিনা বিবি। ঘটনাটি ঘটেছে মথুরাপুর থানার তেঁতুল বেড়িয়া গ্রামে।
আরও পড়ুন: বিজেপি কর্মীর বাবাকে বেধরক মার, গুরুতর জঘম বৃদ্ধ
দেড়মাস আগেই বকুলতলা থানার বাইশ হাটা গ্রামের জসমিনা মন্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয় সায়েনশা গাজির। সায়েনশা ক্ষুদ্র শিল্পের কাজ করত। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিয়ের পর থেকেই টাকার জন্য অত্যাচার করা হত জসমিনার ওপর। ক্রমশই চড়ছিল অত্যাচারের মাত্রা। গতকাল বাপের বাড়িতে ভোট দিতে যাওয়ার কথা ছিল জসমিনার। বেরনোর সময় ফের শুরু হয় অশান্তি। তা চরমে পৌঁছালে জসমিনাকে পিটিয়ে খুন করে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন। ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে চালাতে মৃত দেহ পাখার সঙ্গে ঝুলিয়ে দেয় তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
জাসমিনার মাঝরাস্তায় মেয়ের মৃত্যুর খবর পান। শ্বশুরবাডিতে আসতে বলে মৃতদেহ নিয়ে মথুরাপুর হাসপাতালে যায় তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। এরপর মথুরাপুর হাসপাতালে গিয়ে মৃতার বাবা দেখেন মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। পালিয়ে গিয়েছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। পুলিসে অভিযোগ জানানো হলে অভিযোগের ভিত্তিতে মৃতার স্বামী সায়েনশা গাজিকে গ্রেপ্তার করা হয়।