আমফানের তাণ্ডব আম বাগানে, মরসুম আসার মুখেই তছনছ সমস্ত বাগান
কদিন পরেই এই আম পাকত, লাভের আশায় দিন গোণা আম চাষিদের স্বপ্ন মূহূর্কে চুরমার করেছে আমফান ঝড়।
![আমফানের তাণ্ডব আম বাগানে, মরসুম আসার মুখেই তছনছ সমস্ত বাগান আমফানের তাণ্ডব আম বাগানে, মরসুম আসার মুখেই তছনছ সমস্ত বাগান](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2020/05/23/251604-untitled-1.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: নাম আমফান ঠিকই। তবে এই ঝড়ের তাণ্ডব থেকে নিষ্কৃতী মেলেনি রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে থাকা আম বাগানগুলির। আম পাকার ঠিক আগেই শেষ সব কিছু। অথৈ জলে আম চাষীরা। রাজ্য জুড়ে আম বাগানগুলিতে এখন এমনই তাণ্ডবের দৃশ্য। কদিন পরেই এই আম পাকত, লাভের আশায় দিন গোণা আম চাষিদের স্বপ্ন মুহূর্তে চুরমার করেছে আমফান ঝড়।
নদিয়া
নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বহু পরিবার আমচাষের ওপর নির্ভরশীল। তবে ঝড়ের তাণ্ডবে প্রায় সব গাছ থেকেই ঝড়ে গিয়েছে অপরিপক্ক আম। কুড়িয়ে আনার লোক নেই। খরচ করে মাজদিয়ার বাজারে নিয়ে গেলেও মিলছে না পাইকারি ক্রেতা। বাধ্য হয়েই স্বপ্নের ফসল পথের থারে ফেলে দিচ্ছেন চাষিরা।
হুগলি
হুগলির মানকুন্ডু, ভদ্রেশ্বর, চন্দননগর, চুঁচুড়া, পোলবা, ব্যান্ডেল জুড়ে ছড়িয়ে থাকা আমবাগানগুলিতে। কার্যত শ্মশানের স্তব্ধতা। ঝড়ে গাছ ফাঁকা করে আম ঝড়েছেতো বটেই, নিষ্ঠুর আমফান উপড়ে দিয়েছে অগুণতি গাছ। একই দশা জাম, কলার বাগানেও।
মালদা
আমফানের জেরে মালদায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত আম চাষ। মালদায় আমফানের প্রভাব তেমনভাবে ছিল না। তাতেই কয়েক কোটি টাকা ক্ষতির মুখে আম চাষ। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা উদ্যানপালন দফতরের। গাছ থেকে পড়ে গিয়েছে প্রচুর আম। এছাড়াও লকডাউনে গাছের পরিচর্যাও ঠিকমত করা হয়নি। জেলার উদ্যান পালন দফতর তথ্য সংগ্রহ করে রাজ্য সরকারের কাছের রিপোর্ট পাঠাচ্ছে।
কীভাবে এই ক্ষতি সামাল দেবেন বুঝেই উঠতে পারছেন না আম চাষিরা। লকডাউন শিথিলে নতুন করে আশার আলো দেখছিলেন ক্ষতির আশঙ্কায় ধুঁকতে থাকা
আম চাষী-ব্যবসায়ীরা। তবে সব আশায় জল ঢেলে কার্যত ভাসিয়ে দিয়ে গেল এই ঝড়।