Malda| BJP: ভোটের মুখে মালদহে দল ছাড়লেন বিজেপির ২ শীর্ষ নেতা

Malda| BJP: তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী বলেন, ২০১৯ সালে দীপালিকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিয়ে গিয়েছিল বিজেপি।  ২০২৪ সালে বিজেপির মিথ্যাচার বুঝতে পেরে তারা তৃণমূলে এসেছে

Updated By: Mar 19, 2024, 08:43 PM IST
Malda| BJP: ভোটের মুখে মালদহে দল ছাড়লেন বিজেপির ২ শীর্ষ নেতা

রণজয় সিংহ: বিজেপি ছাড়লেন গাজলের প্রাক্তন বিধায়ক তথা বিজেপি জেলা কমিটির সহ-সভানেত্রী দিপালী বিশ্বাস। তাঁর সঙ্গেই দল ছাড়লেন‌ তাঁর স্বামী বিজেপি নেতা ও লোকসভা নির্বাচনে মালদা বিধানসভা কেন্দ্রের অবজারভার রঞ্জিত বিশ্বাস। বিজেপির সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তিনি।

আরও পড়ুন-তারিখ পে তারিখ আর নয়, বুলেট ট্রেন কবে চালু হবে জানালেন রেলমন্ত্রী

শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বিজেপি ছাড়লেন দিপালী এবং রঞ্জিত। সোমবার তাঁরা যোগ দিলেন তৃণমূলে। জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী ও মালদা উত্তরের তৃণমূল প্রার্থী প্রসুন বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তাঁরা তৃণমূলে যোগ দিলেন। তৃণমূলের একটি নির্বাচনী সভার মধ্য দিয়েই গাজোলে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন তাঁরা। আর এই ঘটনার পরেই মালদার রাজনীতিতে তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

এদিন বিকেলে গাজোল ব্লকের কদুবাড়ী মোড়ে তৃণমূলের একটি নির্বাচনী সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে উত্তর মালদার লোকসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী প্রসূন ব্যানার্জির সমর্থনে জেলার প্রথম সারির নেতা-নেত্রীরা উপস্থিত হয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএমের টিকিটে গাজোল বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হন দিপালী বিশ্বাস। এরপর ২০১৬ সালের ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে তৃণমুলে যোগদান করেন দিপালী। এরপর ২০২০ সালে ডিসেম্বর মাসে বিজেপিতে যোগদান করেন তিনি। তাঁকে বিজেপি সহ সভাপতি ও দলের গুরুত্বপূর্ণ দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়। পাশাপাশি দিপালী বিশ্বাসের স্বামী রঞ্জিত বিশ্বাস বর্তমানে পুরাতন মালদার বিজেপির পর্যবক্ষেক ছিলেন।

নেত্রী দিপালী বিশ্বাস বলেন, বড় ভুল করেছিলাম। শুভেন্দু অধিকারী ভুল বুঝিয়ে দলে নিয়ে গেছিল। মিথ্যা প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে। একটা কথাও রাখ নি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এবং সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি যে আমাকে দলে নিয়েছে আমি তাদের প্রতি চির কৃতজ্ঞ। বিজেপির মিথ্যা প্রতিশ্রুতি প্ররোচনায় যেন কেউ পা না দেয়।

তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী বলেন, ২০১৯ সালে দীপালিকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিয়ে গিয়েছিল বিজেপি।  ২০২৪ সালে বিজেপির মিথ্যাচার বুঝতে পেরে তারা তৃণমূলে এসেছে। ধসনামা শুরু হয়েছে। আগামীতে আরও হবে।

গাজলের বিজেপি বিধায়ক চিন্ময় দেব বর্মন বলেন, কিছু মানুষ স্বার্থসিদ্ধির জন্য দলে এসেছিলেন। স্বার্থসিদ্ধি হয়নি তাই দল ছাড়লেন। এতে দলের কোন ক্ষতি হবে না।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

 

.