Dumdum: দমদমে স্ত্রী-মেয়েকে গলা কেটে খুন করে মধ্যমগ্রামে আত্মঘাতী প্রাক্তন সেনাকর্মী!
শুক্রবার সকালে শিয়ালদহ বনগাঁ শাখার মধ্যমগ্রাম স্টেশনে আত্মঘাতী হন গৌতম বন্দ্যোপাধ্য়ায় নামে ওই প্রাক্তন সেনাকর্মী। এরপরই ঘটনা চাঞ্চল্যকর মোড় নেয়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: স্ত্রী ও কিশোরী মেয়েকে নৃশংসভাবে খুনের পর আত্মঘাতী হয়েছেন এক প্রাক্তন সেনাকর্মী। মধ্যমগ্রাম স্টেশনের কাছে উদ্ধার হয় ওই প্রাক্তন সেনাকর্মীর দেহ। মৃতের নাম গৌতম বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বয়স ৪৮ বছর। এই ঘটনায় শুক্রবার সকালে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় মধ্যমগ্রাম স্টেশনে। ওদিকে দমদমে বাড়িতে উদ্ধার হয় স্ত্রী ও কন্যার মৃতদেহ। যা থেকেই প্রাথমিকভাবে পুলিসের অনুমান স্ত্রী ও কন্যাকে খুন করে নিজে আত্মঘাতী হয়েছেন এই প্রাক্তন সেনাকর্মী।
শুক্রবার সকালে শিয়ালদহ বনগাঁ শাখার মধ্যমগ্রাম স্টেশনে আত্মঘাতী হন গৌতম বন্দ্যোপাধ্য়ায় নামে ওই প্রাক্তন সেনাকর্মী। এরপরই ঘটনা চাঞ্চল্যকর মোড় নেয়। প্রাক্তন সেনাকর্মী গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়ের (৪৮) দেহ উদ্ধারের পর মধ্যমগ্রাম জিআরপি তরফে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তারপর মধ্যমগ্রাম জিআরপিতে গিয়ে দেহ সনাক্ত করেন মৃত সেনাকর্মীর আত্মীয়। তারপরই পরিবারের সদস্যরা দমদম থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে। দমদম পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিলেন আত্মঘাতী ওই প্রাক্তন সেনা কর্মী।
পরিবারের তরফে খবর পেয়ে এরপর দমদম থানার পুলিস গিয়ে পৌঁছয় পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের জীবন রতন ধর রোডে গৌতম বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ফ্ল্যাটে। কিন্তু ফ্ল্যাটে এসে দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করতেই তাদের চক্ষু থ হয়ে যায়। দেখা যায়, ঘরের ভিতরে খাটের উপর গলাকাটা অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ওই প্রাক্তন সেনাকর্মীর স্ত্রী দেবিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (৪৪) ও দ্বিতীয় বর্ষের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে দিশা বন্দ্যোপাধ্যায় (১৯)। প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, ওই প্রাক্তন সেনাকর্মী প্রথমে স্ত্রী ও মেয়েকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে খুন করে। তারপর নিজে ঘরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন। তাতে সফল না হয়ে তিনি মধ্যমগ্রাম স্টেশনে গিয়ে আত্মঘাতী হন।
পুলিস সূত্রে খবর, বিগত ৪-৫ মাস ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ওই প্রাক্তন সেনাকর্মী। গতকাল সারারাত ধরে তিনি মদ্যপান করেন। এরপর আজ ভোরবেলায় স্ত্রী ও মেয়েকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে খুন করার পর নিজে আত্মঘাতী হন। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ব্যারাকপুর কমিশনারেটের বিশাল পুলিস বাহিনী। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের এসিপি দমদম সুবীর রায় জানিয়েছেন, দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন বন্দ্যোপাধ্যায় দম্পতি ও তাঁদের মেয়ে। সমস্ত অনুষ্ঠানেই তাঁরা যোগ দিতেন। কখনও কোনও সমস্যা তাঁদের মধ্যে তাঁরা দেখেননি। হঠাৎ কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, তাতে হতভাগ তাঁরাও।
আরও পড়ুন, Jalpaiguri | Manasa Puja: মনসা খেলেন ইলিশ-চিংড়ি, হাঁসের ডিমের এলাহি ভোগ!