মৃত চিকিত্সকের রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ব্যবহার করে রমরমা কারবার
ওয়েব ডেস্ক : CID তদন্ত, লাগাতার ধরপাকড়। তারপরও এতটুকু কমেনি ভুয়ো চিকিত্সকদের রমরমা কারবার। সুভাষগ্রামে এমনই চিকিত্সকের খোঁজ মিলল। পি কে বারিক। স্বনামধন্য শিশু চিকিত্সক। সুভাষগ্রামের চেম্বারে উপচে পড়া ভিড়। রেজিস্ট্রেশন নম্বর ৪৪৭৭৯। এমনিতে সবই ঠিকঠাক। গলদটা অন্য জায়গায়। এমসিআই-এর ওয়েবসাইট বলছে, এই রেজিস্ট্রেশন নম্বরের মালিকের নাম অমিতাভ ভট্টাচার্য। তাহলে, পি কে বারিক কী করে এই রেজিস্ট্রেশন ব্যবহার করছেন?
কোনও উত্তর নেই পি কে বারিকের কাছে। তাহলে কি এমবিবিএস পাশ না করেই চিকিত্সা করে যাচ্ছেন? মানতে রাজি নন তিনি। তাঁর যুক্তি, উত্তরপ্রদেশের গৌতম বুদ্ধ মেডিক্যাল কলেজ থেকে পাশ করেছেন। পাল্টা প্রশ্ন করায় চ্যালেঞ্জ করলেন, সব ডকুমেন্টই জমা দেবেন তিনি। আরও একটু চেপে ধরতেই, পি কে বারিক দাবি করেন, তিনি নাকি এমবিবিএস-এর শর্টটার্ম কোর্স করেছেন। দিনভর জেরার পর সন্ধেয় কিছুটা মচকান বারিকবাবু। মেনে নেন এমবিবিএস-এর পাশে 'ক্যাল' ব্যবহার করাটা ঠিক হয়নি তাঁর। তবে, মৃত অমিতাভ ভট্টাচার্যের রেজিস্ট্রেশন ব্যবহারের কথা কিছুতেই মানতে রাজি নন পি কে বারিক।
যাঁর রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে গোটা ফাঁদ পেতেছেন পি কে বারিক, সেই অমিতাভ ভট্টাচার্যের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় এবছরের ২৪ মে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। ভাইয়ের স্ত্রী জানান, সিধেসাদা সরল স্বভাবের মানুষ ছিলেন অমিতাভ ভট্টাচার্য। সেই সুযোগ নিয়েই হয়তো লোক ঠকানোর কারবার চালাচ্ছেন পি কে বারিক।
আরও পড়ুন, রবিবার পাহাড়ে গৌতম দেব ও অনীক থাপার জোড়া শান্তি মিছিল