বেঙ্গালুরুর বরুণের হৃদয়ে বাঁচবে ঝাড়খণ্ডের দিলচাঁদ!
বেঙ্গালুরুতে পথ দুর্ঘটনায় আহত হন বরুণ ডিকে নামে এক ব্যক্তি। ১৯ মে স্পর্শ হাসপাতালে তাঁর ব্রেন ডেথ হয়। হাসপাতালের তরফে যোগাযোগ করা হয় চেন্নাইয়ের মালহার ফর্টিস হাসপাতালের সঙ্গে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বেঙ্গালুরু থেকে চার্টার্ড বিমানে কলকাতায় এল জারবন্দি হৃদপিণ্ড। পূর্ব ভারতে প্রথম হল আন্তঃরাজ্য গ্রিন করিডর। বেঙ্গালুরুতে পথ দুর্ঘটনায় আহত এক ব্যক্তির হৃদপিণ্ড স্থাপিত হবে বাইপাসের ধারে ফর্টিস হাসপাতালে ভর্তি এক রোগীর শরীরে। বিমানবন্দরের টার্মিনাল থেকে হাসপাতাল পর্যন্ত গ্রিন করিডর তৈরি করা হয়। বিমানবন্দর থেকে বাইপাস ধরে আনন্দপুর আসে হৃদপিণ্ডটি। হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপনের জন্য ৩০ জন চিকিত্সকের একটি দল গঠন করা হয়েছে। প্রায় ৩ ঘণ্টার অস্ত্রোপচার হবে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ফল ঘোষণার পর আবারও রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন
বেঙ্গালুরুতে পথ দুর্ঘটনায় আহত হন বরুণ ডিকে নামে এক ব্যক্তি। ১৯ মে স্পর্শ হাসপাতালে তাঁর ব্রেন ডেথ হয়। হাসপাতালের তরফে যোগাযোগ করা হয় চেন্নাইয়ের মালহার ফর্টিস হাসপাতালের সঙ্গে। সেই হাসপাতালে তখন গ্রহিতা ছিল না। যোগাযোগ করা হয় কলকাতা ফর্টিসের সঙ্গে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আনন্দপুরের ফর্টিস হাসপাতালে ঝাড়খণ্ডের দিলচাঁদ সিং ভর্তি রয়েছেন। দিলচাঁদের হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন রয়েছে।
এরপরই চেন্নাই থেকে বেঙ্গালুরু উড়ে যান চিকিত্সকরা। যোগাযোগ করা হয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও জাতীয় অঙ্গ প্রতিস্থাপন সংগঠন NOTO র সঙ্গে। দুই তরফে সবুজ সঙ্কেত পেয়েই বরুণ ডিকে-র শরীর থেকে হৃদপিণ্ড বার করে নেওয়া হয়। বিশেষ জারে সংরক্ষণ করে সেই হৃদপিণ্ড চার্টার্ড বিমানে কলকাতায় উড়ে আসছে।