Ex TMC MLA Assaulted: প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ, নিশানায় দলেরই কর্মী
দুবরাজপুরের প্রাক্তন বিধায়ক ছিলেন নরেশ। বর্তমানে তিনি বোলপুর তৃণমূলের শহর সভাপতি। তাঁর স্ত্রী বর্তমানে কাউন্সিলর। তাকেই কিনা মারধর। এনিয়ে গুঞ্জন উঠছে দলের অন্দরে। অনুব্রত মণ্ডল জেলে যাওয়ার পর বীরভূমে তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে বিবাদ প্রকাশ্যে এসেছে।
প্রসেনজিত্ মালাকার: দলের প্রাক্তন বিধায়ক মার খেলেন দলের কর্মীর হাতে। এমনটাই অভিযোগ উঠল বীরভূমে। আহত প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক এখন দুর্গাপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি। আহত তৃণমূল নেতা নরেশ বাউড়ি। বীরভূমের জামবুনি এলাকার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন-দমন-পীড়ন নয়, আলাপ-আলোচনায় কুড়মি সমস্যার সমাধানের নিদান পার্থর
স্থানীয় সূত্রে খবর, জামবুনি এলাকায় একটি নিকাশী নালা তৈরিকে কেন্দ্র করে একটি গোলমালে জড়িয়ে পড়েন নরেশ বাউড়ি। সেইসময় এলাকার তৃণমূল কর্মী মানব মণ্ডল ও তার দাদা তাপস মণ্ডল তাঁকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। তাতেই আহত হন তিনি। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় দুর্গাপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে।
উল্লেখ্য, দুবরাজপুরের প্রাক্তন বিধায়ক ছিলেন নরেশ। বর্তমানে তিনি বোলপুর তৃণমূলের শহর সভাপতি। তাঁর স্ত্রী বর্তমানে কাউন্সিলর। তাকেই কিনা মারধর। এনিয়ে গুঞ্জন উঠছে দলের অন্দরে। অনুব্রত মণ্ডল জেলে যাওয়ার পর বীরভূমে তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে বিবাদ প্রকাশ্যে এসেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে কোর কমিটি গঠন করেছে দল।
গত ২১ মে কান্দিতেও বিধায়কের কার্যালয়ের সামনেই তৃণমূল কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। লাঠি নিয়ে এক পক্ষে অন্যের উপরে চড়াও হয়। মাটিতে ফেলে মারধার করা হয় কয়েক জন তৃণমূল কর্মীকে। ৩ তৃণমূল কর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। তৃণমূলের তরফে অবশ্য হয় দলের কোনও সমস্যা নেই। ওই ঘটনার জন্য বিধায়ক হুমায়ুন কবীর ভরতপুরের ব্লক তৃণমূল সভাপতি নজরুল ইসলামকেই দায়ী করেন। হুমায়ুনের দাবি, তৃণমূল কার্যালয়ে বৈঠক চলাকালীন নজরুলে নেতৃত্বে একদল লোক লাঠিসোঁটি নিয়ে হামলা চালায়।
প্রায় একই ঘটনা ঘটে দক্ষণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে। গত ২৫ জানুয়ারি স্থানীয় তৃণমূল কর্মীকে মারধরের অভিযোগ স্থানীয় তৃণমূলের এক নেতার বিরুদ্ধে। মারধরে আহত তৃণমূল কর্মী মোরসালিন সেখকে ক্য়ানিং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।