কেন্দ্রের কিষান যোজনায় লাভবান হয়েছে সব রাজ্য, বাংলার কৃষকদের বঞ্চিত করেছেন মমতা

৩৭০ বিরুদ্ধে প্রথম বলিদান শ্যামা প্রাসাদ মুখার্জি দিয়েছিলেন। কিন্তু বাংলায় ৩৭০ বিরুদ্ধে প্রচার করা হচ্ছে, অভিযোগ দিলীপের

Reported By: প্রিতম দে | Edited By: সিকান্দর আবু জ়াফর | Updated By: Jun 28, 2020, 08:33 PM IST
কেন্দ্রের কিষান যোজনায় লাভবান হয়েছে সব রাজ্য, বাংলার কৃষকদের বঞ্চিত করেছেন মমতা
ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের ভূমিকা থেকে শুরু করে ৩৭০ ধারা, কিষান যোজনা থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানো, দিলীপ ঘোষের নিশানায় রাজ্য সরকার। রবিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের একাধিক ইস্যু নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে আক্রমণ করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। এদিন তিনি বলেন-

** কেন্দ্রের কিষান যোজনার বিরোধিতা করেছেন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বাংলার ৯৬ শতাংশ গরিব কৃষক।  দেশের সব রাজ্যের কৃষকরা লাভবান হয়েছে, কিন্তু বাংলার কৃষকরা বঞ্চিত হয়েছেন।

আরও পড়ুন-'রাহুলের মন্তব্যে উত্সাহ পাচ্ছে চিন, লাদাখে ও করোনার বিরুদ্ধে জয়ী হবে মোদীর নেতৃত্বে ভারত' 

** করোনা সংক্রণের আতঙ্কে ভিন রাজ্য থেকে ঘরে ফিরতে চাইছিলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। দেশের অনেক রাজ্য ট্রেন চেয়েছে। কিন্তু বাংলা চেয়েছে অনেক কম। দিদি বলছেন করোনা স্পেশাল।

** আমফানের কথা ১১দিন আগে জানা গিয়েছিল। ত্রাণে  ১ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। সেই টাকা কোথায় গিয়েছে তা জানা নেই। আমফানের জন্য আগে থেকে সতর্ক হলে অনেক মানুষ বাচতো।
কলকাতায় বিদ্যুৎ ছিল না ৬ দিন।

** কেন্দ্র থেকে আসা রেশন নিতে তৃণমূলের কুপন দেখাতে হয়। এক দেশ এক রেশন ব্যবস্থার বিরোধিতা করছে টিএমসি কারণ ওখানে কুপন চলবে না।

** করোনা চিকিত্সার জন্য ৪২টি স্পেশালিষ্ট হাসপাতালের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু দুটোর বেশি দেখা যায়নি।

** বাংলায় আওয়াজ উঠেছে পিপিই কিট নেই। কেন্দ্রীয় টিম গিয়েছিল সাহায্য করতে। বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কোয়ারেন্টাইন সেন্টার খোলা যায়নি।

** মুখ্যমন্ত্রীকে বলেছি আপনার নেতারা কেন অসুস্থ হচ্ছেন? নিয়ম মানেননি। চাল-ডাল বিলিতে ছিলেন।
যাঁরা সচেতন করবেন তারাই বিপদের কারণ হয়ে দাড়িয়েছেন।

** কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে। আয়ুস্মান যোজনায় কেন আপত্তি রাজ্যের?

** তৃণমূল বলে এত দুর্নীতি সম্ভব। অন্য কোনও পার্টির পক্ষে সম্ভব নয়।

**  আমাদের খেজুরিতে আক্রমণ করা হয়েছিল। এখনও হচ্ছে। বিধায়ক এর সঙ্গে যুক্ত। পুলিশ এক প্রকার মদত দিচ্ছে।

** ২০১৪ সালে বিজেপির মাত্র ২ জন সাংসদ ছিলেন বাংলায়। ২০১৯ সালে ১৮ আসন জিতেছে। 

আরও পড়ুন-লাদাখে একটু একটু করে ঢুকছে চিন, সতর্ক করেছিলেন বিজেপি-সহ এলাকার সব দলের নেতারা 

**  পাকিস্তান থেকে আসা বাঙালিদের জন্য সিএএ-র বিরোধিতা কেন!

**  ৩৭০ বিরুদ্ধে প্রথম বলিদান শ্যামা প্রাসাদ মুখার্জি দিয়েছিলেন। কিন্তু বাংলায় ৩৭০ বিরুদ্ধে প্রচার করা হচ্ছে।

**  যাঁরা শরনার্থী হয়ে এসেছিলেন তাদের নাগরিকত্ব দেবে কেন্দ্র। কেন এর বিরোধিতা?

** কেন্দ্র ৩ লক্ষ কোটি টাকা এমএসএমই-র জন্য দিয়েছে। বাংলায় শিল্প হওয়া উচিত। অনেকে তৈরি আছে। কিন্তু রাজ্য হিংসার পরিস্থিতি রয়েছে। এই কারণে সমস্যা হচ্ছে। সিপিএম, কংগ্রেস, তৃণমূল একইভাবে হিংসার রাস্তা নিয়েছে।

.