শিলিগুড়ির বৈঠকে গরহাজির শাসক-নেতারা, হতাশ হলেও আশা ছাড়তে নারাজ রাজ্যপাল
মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে রাজ্যপালের বৈঠকে বিরোধী দলের নেতারা উপস্থিত হলেও শাসকদলের কোনও শীর্ষনেতাকে ও প্রশাসনিক কর্তাদের দেখতে না পেয়ে কার্যত হতাশ হলেন রাজ্যপাল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যপালের ডাকা প্রশাসনিক বৈঠকে এলেন না শাসকদলের কোনও প্রতিনিধিই, এমনকী উপস্থিত ছিলেন না পুলিসের কোনও শীর্ষকর্তাও। মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে ওই বৈঠক করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধরখড়। সেখানে বিরোধী দলের নেতারা উপস্থিত হলেও শাসকদলের কোনও শীর্ষনেতাকে ও প্রশাসনিক কর্তাদের দেখতে না পেয়ে কার্যত হতাশ হলেন রাজ্যপাল।
জেলাশাসক থেকে মন্ত্রী গৌতম দেব কেউই হাজির হননি এদিনের বৈঠকে। যদিও হতাশ হলেও তিনি যে বিরক্ত নন তাও উল্লেখ করেছেন রাজ্যপাল। খানিকটা সহজ হয়েই এ দিন তিনি বলেন, "আশা করেছিলাম শাসক দলের প্রতিনিধিরা থাকবেন, তবে ওঁরা নিশ্চই কোনও কাজে আটকে গিয়েছেন, আশা করি পরের বৈঠকে তাঁরা থাকবেন।"
রুদ্ধদার বৈঠক নয়, মঙ্গলবার শিলিগুড়ির বৈঠকে সাংবাদিকদের প্রতিটা প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন রাজ্য়পাল। স্পষ্ট করলেন যাদবপুর কাণ্ডে তাঁর মনোভাবও। বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে তাঁর মন্তব্য, "আমি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য। হাসপাতালে উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলেছি, তারপর ছাত্রদের সঙ্গেও কথা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সমস্যার সমাধান সম্ভব। তবে শিক্ষায় নজর না দিলে আমরা ধ্বংস হয়ে যাব।" পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান বজায় থাকুক এমনটাই চান রাজ্যপাল তথা যাদবপুরের আচার্য জগদীপ ধনখড়।
আরও পড়ুন: আশা করি যাদবপুরের উপাচার্য, পড়ুয়াদের প্রতি সুবিচার করবেন রাজ্যপাল: তৃণমূল
গত বৃহস্পতিবার যাদবপুরে বাবুলের হেনস্থার পর তাঁকে উদ্ধার করতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পৌঁছে যান রাজ্যপাল। এরপর বাবুলকে গাড়িতে তুলে বেরিয়েও আসেন তিনি। আর এরপরই শাসকদলের তীব্র কটাক্ষের মুখে পড়তে তাঁকে। উঠে আসে একাধিক প্রশ্ন, বিতর্ক। যদিও রাজভবনের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে কড়া ভাবেই নিজের অবস্থানের কথা জানান ধনখড়।