Bardhaman: আমফানে ভেঙেছিল বাড়ি, ত্রিপলের ঝুপড়িতে পড়াশোনা করেই এবার উচ্চমাধ্যমিকে এই কন্যাশ্রী
তিন বছর আগে আমফান ঝড়ে ভেঙে যায় মহুয়াদের মাটির বাড়িটি। তখন থেকেই বাবা মায়ের সঙ্গে গাছের নিচে আশ্রয় নিয়েছে সে। ঘরের উত্তর দিকে খোলা আকাশের নিচে হয় তিন বেলার রান্না
পার্থ চৌধুরী: তিন বছর ত্রিপলের ঝুপড়িতে পড়াশোনা করে এবার উচ্চ মাধ্যমিককে বসছে মহুয়া। রাস্তার ধারে ঝুঁকে পড়েছে একটি শিশু গাছ। তার নিচে ত্রিপল টাঙানো রয়েছে। এটাই মহুয়াদের বাড়ি। এই বাড়িতে চার বছর ধরে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী মহুয়া চৌধুরী। রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী প্রকল্পে পঁচিশ হাজার টাকা পেলেও পায়নি মাথা উপরে ছাদ। পূর্ব বর্ধমানের গলসির আটপাড়া গ্রামের তাদের বসতবাড়ি বলতে আট দশ ফুটের একটি ত্রিপলের ঝুপড়ি। আর তার ভিতরে এক চৌকিতে খাওয়া দাওয়া ও ঘুমানো সঙ্গে চলে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতি।
আরও পড়ুন- আর কত দিন করে খাবেন! দলের নেতাদের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক
তিন বছর আগে আমফান ঝড়ে ভেঙে যায় মহুয়াদের মাটির বাড়িটি। তখন থেকেই বাবা মায়ের সঙ্গে গাছের নিচে আশ্রয় নিয়েছে সে। ঘরের উত্তর দিকে খোলা আকাশের নিচে হয় তিন বেলার রান্না। বৃষ্টি নামলে সেটাও বন্ধ হয়ে যায়। আক্ষেপে নিজেদের জীবনটাকে গরু ছাগলের সঙ্গে তুলনা করলেন মহুয়া ও তার বাবা মা।
মা রেখা বেগম গৃহবধূ। বাবা মান্নান চৌধুরী দিনমজুর। সপ্তাহে দু'দিন কাজ হয় তো পাঁচদিন বন্ধ। ফলে অভাব কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না তাদের। স্বাভাবিক ভাবে দুঃখ ও যন্ত্রণার মধ্যে দিন কাটছে পরিবারটির। স্থানীয় লোয়া রামগোপালপুর পঞ্চায়েত ও গলসি ১ নম্বর বিডিও অফিসে বার বার জানিয়েও কোন সুরাহা পায়নি তারা। স্থানায়ীরা বলেন, রাইপুর ও আটপাড়া এলাকায় ভোটে জিতেছে তৃণমূল। ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি দিলেও পাশে দাঁড়াননি বিধায়ক থেকে ব্লক প্রশাসন কেউই।