তিন বার বিয়েতে একই জিনিস! চতুর্থবারেও অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা স্বামীর

পুলিস আসামাত্র খাটের তলায় লুকিয়ে পড়ে অভিযুক্ত স্বামী ও শাশুড়ি। খাটের নীচ থেকে তাদের টেনে বের করে এনে পুলিসের হাত তুলে দেয় পড়শিরা।

Updated By: Nov 20, 2018, 06:24 PM IST
তিন বার বিয়েতে একই জিনিস! চতুর্থবারেও অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা স্বামীর

নিজস্ব প্রতিবেদন : একটার পর একটা বিয়ে। আর প্রতিবারই স্ত্রীদের আগুন পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করত স্বামী। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় চতুর্থ স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করার সময় অবশেষে পুলিসের হাতে ধরা পড়ল অভিযুক্ত স্বামী। ধরা পড়ল স্বামীকে মদতদাতা শাশুড়ি। ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়িতে।

শিলিগুড়ির ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের মিলনপল্লির গৃহবধূ কাজল কুমারী যাদব। ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা সে। অভিযোগ, অন্তঃসত্ত্বা কাজল কুমারীকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে স্বামী শক্তি আগরওয়াল ও শাশুড়ি চন্দ্রকলা দেবী আগরওয়াল। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এটাই প্রথম নয়। এর আগেও ৩ বউয়ের সঙ্গে এমনটাই করেছিল শক্তি আগরওয়াল।

আরও পড়ুন, মুখ্যমন্ত্রীর 'ধমক খেয়ে' মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কাজলকে বিয়ের আগে আরও ৩ বার বিয়ে করেছিল শক্তি আগরওয়াল। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কও ছিল তার। প্রতিক্ষেত্রেই স্ত্রীর উপর চরম অত্যাচার করে শক্তি। পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে স্ত্রীদের। প্রতিবারই ভয়ে পালিয়ে যায় আগের পক্ষের গৃহবধূরা। তৃতীয় স্ত্রীর হাত পুড়িয়ে দিয়েছিল অভিযুক্ত শক্তি আগরওয়াল।  

এদিন সকালেও আচমকা প্রতিবেশীদের কানে আসে কাজল কুমারীর 'বাঁচাও, বাঁচাও' আর্তনাদ। ছুটে এসে তাঁরা দেখেন ফ্ল্যাট থেকে আগুনের ধোঁয়া বেরচ্ছে। তাঁরাই খবর দেন দমকলকে। ঘটনাস্থলে আসে দমকলের দুটি ইঞ্জিন। জানালার গ্রিল কেটে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে উদ্ধার করেন দমকল কর্মীরা।

অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই কাজল কুমারীর উপর অত্যাচার শুরু করে স্বামী শক্তি আগরওয়াল ও তার মা চন্দ্রকলা দেবী। এদিন কাজল কুমারী যাদবকে ঘরে বন্ধ করে তাঁর জমা কাপড় মেঝেতে রেখে তাতে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় স্বামী শক্তি আগরওয়াল। অন্যদিকে, মা-ছেলে মিলে একটি বড় ব্যাগে খাবারদাবার, জামাকাপড় , প্রচুর পরিমাণে সোনাদানা গুছিয়ে বাথরুমে জানালা দিয়ে পালাবার চেষ্টা করতে থাকে।

আরও পড়ুন, ভিডিও গেম খেলছিল কিশোর, রান্নার পরই গরম মাংস খেতে দেয় মা, পরিণতি... মর্মান্তিক

যদিও শেষপর্যন্ত পালানোর চেষ্টা ব্যর্থ হয়। প্রতিবেশীদের ফোন পেয়ে চলে আসে শিলিগুড়ি থানার পুলিস। পুলিস আসামাত্র খাটের তলায় লুকিয়ে পড়ে অভিযুক্ত স্বামী ও শাশুড়ি। পরে খাটের নীচ থেকে তাদের টেনে বের করে এনে পুলিসের হাত তুলে দেয় পড়শিরা। এই ঘটনায় বিহারে কাজল কুমারীর বাপের বাড়িতে খবর দেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস ।

.