Jangipara Minor Death: ধর্ষণে বাধা দেওয়াতেই মর্মান্তিক পরিণতি জাঙ্গিপাড়ার কিশোরীর, চাঞ্চল্যকর দাবি পুলিসের
শনিবার অর্থাত্ ৮ অক্টোবর পুকুরে মৃতদেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা।পুলিস মৃতদেহ উদ্ধারে গেলে বাধা পায়। কয়েক ঘন্টা পর পুলিসের উচ্চপদস্থ কর্তারা গিয়ে সঠিক তদন্তের আশ্বাস দিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়
বিধান সরকার: হুগলির জাঙ্গিপাড়ায় নাবালিকা খুনের ঘটনায় মোট ৪ জনকে গ্রেফতার করল পুলিস। সোমবার এনিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে হুগলি গ্রামীণ পুলিস সুপার জানান, ধর্ষণে বাধা দেওয়াতেই ওই নাবালিকাকে খুন করা হয়। এক দূরসম্পর্কীয় আত্মীয়ের সঙ্গে ওই নাবালিকার সম্পর্ক ছিল। দশমীর দিন তারই ডাকে শ্রীহট্টে গিয়েছিল ওই নাবালিকা। সাইকেলে চালিয়ে ডাকাতিয়া খালের পাশে শ্রীহট্ট গ্রামের একটি পুকুরপাড়ে তার প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করে ওই কিশোরী। কথাবার্তার ফাঁকে ওই নাবালিকার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে চায় তার কিশোর প্রেমিক। তাতে বাধা দেয় সে। ওই কিশোরের ডাকে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় তার ৩ বন্ধু। এদের মধ্যে ২ জন ওই কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন-স্নেহ রানা-দীপ্তির দাপুটে বোলিং, থাইল্যান্ডকে নয় উইকেটে উড়িয়ে দিল স্মৃতির ভারত
এদিকে, পুলিস সুপারের আরও দাবি কিশোরী ধর্ষণে বাধা দিলে শুরু হয় ধস্তধস্তি, টানা হেঁচড়া। এই ধস্তাধস্তির মধ্যেই ওই নাবালিকা পুকুরে পড়ে যায়। তাকে ফেলে রেখেই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় ওই ৪ জন। এদিকে সাঁতার জানত না ওই কিশোরী। ফলে পুকুরের জলে সে তলিয়ে যায়। ময়না তদন্তের প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণের কোনও প্রমাণ মেলেনি। জলে ডুবেই ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৫ অক্টোবর অর্থাত্ দশমীর দিন বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় ওই কিশোরী। ৭ অক্টোবর পুলিসে অপহরণের অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ করতে গেলে তা নিয়ে পুলিস গড়িমসি করে বলে কিশোরীর আত্মীয় পরিজনের দাবি। এনিয়ে পুলিস সুপার সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, পুলিসের গাফিলতির কোনও অভিযোগ থাকলে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত শনিবার অর্থাত্ ৮ অক্টোবর পুকুরে মৃতদেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা।পুলিস মৃতদেহ উদ্ধারে গেলে বাধা পায়। কয়েক ঘন্টা পর পুলিসের উচ্চপদস্থ কর্তারা গিয়ে সঠিক তদন্তের আশ্বাস দিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। ওইদিন পুলিস স্নিফার ডগ নিয়ে তল্লাশি চালায়। রাতেই জাল ফেলা হয় পুকুরে। পরদিন রবিবার নাবালিকার সাইকেল খুঁজতে ও ঘটনার সূত্র সন্ধানে ড্রোনের সাহায্য নেয় পুলিস। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী নামিয়ে তল্লাশি করা হয় এলাকার জলাশয় গুলোতে। কিন্তু সাইকেলের খোঁজ মেলেনি। রবিবার রাতে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপারসনের নেতৃত্বে একটি দল নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে দোষীদের গ্রেফতারের ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন। সোমবার ভোরে হরিপালের খাজুরিয়া থেকে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে ৩০২, পকসো ৮&১২,৩৭৬& ৫/১১,৩৬৩ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।