Mahisadal Cooperative Election: মহিষাদলে সমবায় সমিতির ভোটে তলানিতে তৃণমূল, জয়ী বাম-বিজেপি 'জোট'
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, তমলুকে সমবায় দখল করার জন্য় তৃণমূল বাঁশ নিয়ে তাড়া করছে, মারছে। তৃণমূল বিজেপি একে অপরের ছাঁট মাল নিয়ে তৈরি। এই দুইয়ের বিরুদ্ধেই আমরা

কিরণ মান্না: জেলার বিভিন্ন জায়গায় অঘোষিত জোট হয়েছে বাম ও বিজেপির মধ্যে। সেই ফর্মুলাতে বিরোধীরা বাজি মাত করল মহিষাদলের এক সমবায়ের নির্বাচনে। মহিষাদলের জগত্পুরে শীতলা সমবায় সমিতির নির্বাচনে তৃণমূলকে ধরাশায়ী করলে বিরোধী বাম ও বিজেপির জোট। বিরোধীদের জোট দখল করেছে ৫১ আসন। অন্যদিকে, তৃণমূল পেয়েছে মাত্র ১১টি আসন।
আরও পড়ুন- অভিষেকের কাছে পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে কেন অভিযোগ? হুমকির মুখে গ্রামবাসীরা!
নন্দকুমার সমবায় সমিতির নির্বাচনে বাম বিজেপি জোট করে জয় পেয়েছিল বিরোধীরা। সেই থেকে মেদিনীপুরের সমাবায় সমিতির নির্বাচনে বেশ জনপ্রিয় বিরোধীদের এই জোট। আজ মহিষাদলের সমবায় সমিতির নির্বাচনে ভোট নেওয়া হয়েছিল ৬২ আসনে। ভোটের ফল বের হতেই দেখা গেল বিরোধীদের জয়জয়কার। তৃণমূল সূত্রে খবর, জগত্পুর সমবায় সমিতিতে তৃণমূলের সমর্থকের সংখ্যা কম ছিল। তবে বিজেপির দাবি, ঠিকমতো ভোট হওয়াতেই জয়ী হয়েছে বিরোধীদের।
উল্লেখ্য, গত মাসে মহিষাদলের কেশবপুর জালপাই রাধাকৃষ্ণ সমিতির নির্বাচনে জয়ী হয়েছিল শাসকদল। কাজে আসেনি নন্দকুমার মডেল। এই সমবায়ের ৭৬ আসনের মধ্যে ৭৫ আসনে প্রার্থী দিয়েছিল বাম-বিজেপি জোট। এখানে বিজেপি ৬২ আসনে প্রার্থী দেয় বিজেপি। অন্যদিকে বামেরা প্রার্থী দেয় ১৩ আসনে। কিন্তু শাসকদল ৬৮ আসনে জয়ী হয়।
অন্যদিকে, আজ তমলুকের খারুই গঠরা সমবায় সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে গেল এলাকায়। এই সমবায় সমিতির নির্বাচনকে আজ একটি বুথ তৈরি করেছিল বিজেপি। সেই বুথকে কেন্দ্র করে বিজেপি-তৃণমূলের মধ্যে প্রবল সংঘর্ষ বেধে যায়। খারুই সমবায় সমিতির মোট আসন ৪৩। সবকটি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে শাসকদল। ফলে উত্তেজনা একটা ছিলই। তার মধ্য়েই সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয় ব়্য়াফ, কমব্যাট ফোর্স। পুলিসের লাঠিচার্জের ফলে ১৭ জন আহত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ওই সমবায়ের নির্বাচনে ৪৩ আসনের মধ্যে ৩৯ আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। অন্যদিকে, বিজেপি পেয়েছে ৪ আসন।
এই জয় নিয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, তমলুকে সমবায় দখল করার জন্য় তৃণমূল বাঁশ নিয়ে তাড়া করছে, মারছে। তৃণমূল বিজেপি একে অপরের ছাঁট মাল নিয়ে তৈরি। এই দুইয়ের বিরুদ্ধেই আমরা। আমাদের অবস্থান হল তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে। সমবায়ের নির্বাচন সবসময় রাজনৈতিক অবস্থান তেকে হয় না। এক এক জায়গায় এক একটি বিষয় থাকে।